Tripsee Treks  and Tours LLP
Blog and Travel with Us

কালনা - বাংলার মন্দির নগরী



Pratik Mukherjee Pratik Mukherjee

একদম হাতের কাছে, কলকাতা থেকে মাত্র 82 কিলোমিটার দূরে, কাটোয়া অভিমুখে পাবেন ছোট্ট শহর কালনা l মন্দিরের দিক থেকে যদি বিষ্ণুপুরকে প্রথম স্থানে রাখা হয়, তাহলে অনায়াসে কালনা দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে নেবে l বিষ্ণুপুর একদিনে ঘুরে শেষ না করতে পারলেও, কালনা একদিনে বেশ ভালোভাবে ঘুরে কলকাতা ফেরা যায় l তা বলে এমন ভাববেন না, যে ঘুরতে গিয়ে সেরকম কিছু দেখে ফিরলাম না l মন ভরে যাবে কালনা ঘুরে এলে l

ইতিহাস ছুঁয়ে যাওয়া

 

কালনার বর্তমান নাম অম্বিকা কালনা l মঙ্গলকাব্যে "অম্বা মুলুক" নামে কালনার উল্লেখ পাওয়া যায় l পনেরোশো থেকে ষোলশ শতকে এই নামেই পরিচিত ছিলো কালনা l ভাগীরথী নদীর তীরে অম্বা সে যুগের উল্লেখযোগ্য নদী বন্দর ছিলো l সতেরোশো শতকের রেনেল সাহেবের তৈরী এক ম্যাপে কালনা আর অম্বা, দুটো আলাদা জায়গা হিসেবে দেখানো হয় l মুসলিম শাসনকালে অম্বা খুব গুরুত্বপূর্ণ সৈন্য ঘাঁটি ছিলো l তবে কালনা যে কারণে বিখ্যাত, সেই শ্রী চৈতন্য মহাপ্রভুর আগমন হয় ষোলশ শতকে l কালনার অধিবাসীরা তখন দীক্ষিত হতে থাকে বৈষ্ণব ধর্মে l
যদিও বর্তমানে কালনায় দেখতে পাওয়া সব মন্দির কিন্তু বর্ধমান রাজের তৈরী l আঠেরোশো থেকে উনিশশো শতকের মধ্যে অধিকাংশ মন্দির তৈরী হয় l ততদিনে অম্বার নাম হয়ে গেছে অম্বিকানগর l বর্ধমান রাজ মহারাজা তেজচন্দ্র বাহাদুরের সময়েই মন্দিরগুলো স্থাপিত হয় l
সবশেষে বলবো, অম্বিকা কালনার নামকরণ কিন্তু মা অম্বিকা অর্থাৎ দেবী দুর্গা থেকেই হয়েছে l

টেরাকোটায়, বিষ্ণুপুর না কালনা?

 
একদম টেরাকোটার কথা হলে বলতে হবে কালনার মন্দির অনেক বেশি টেরাকোটা শিল্পে সমৃদ্ধ l বিষ্ণুপুরে শুধু চারখানা মন্দিরে টেরাকোটা প্যানেল আছে, বাকি মন্দির লেটেরাইট পাথরে তৈরী l সেক্ষেত্রে কালনায় "বিশুদ্ধ টেরাকোটা" মন্দির বেশি l আর বাংলার মন্দির- গঠনশৈলীর দিকে যদি তাকান, তাহলে আপনি কালনায় সব রকমের মন্দির দেখতে পাবেন...চার চালা, আট চালা, বারো চালা, দেউল, পঁচিশরত্ন, পঞ্চরত্ন, জোড় বাংলা, চাঁদনী, কি নেই?? বাংলার পাঁচটা পঁচিশরত্ন মন্দিরের তিনটেই হলো কালনায় l ভ্যারাইটিতে কালনা কিন্তু এক নম্বরে আছে l

যাবেন কিভাবে?


খুব ভালো হয় যদি, হাওড়া থেকে কাটোয়া লোকালে করে যান l সময় লাগবে মাত্র এক ঘন্টা বেয়াল্লিশ মিনিট l ওই মেরে কেটে দু ঘন্টায় পৌঁছে যাবেন অম্বিকা কালনা l সারাদিনে বারো তেরোটা ট্রেন যাওয়া আসা করে l ওই দিকে শিয়ালদহ থেকেও যেতে চাইলে চারখানা ট্রেন পাবেন, তবে সময় একটু বেশি লাগে l গাড়ি নিয়েও যাওয়া যায় l পূর্ব বর্ধমান ডিস্ট্রিক্টে এই টাউন সড়কযোগেও ভালোভাবে যুক্ত কলকাতার সাথে l
ভালো প্ল্যান হিসেবে বলতে পারি, হাওড়া থেকে সকাল 8 টার, বা শিয়ালদহ থেকে সকাল 8.06 এর ট্রেন নিন l সকাল দশটার মধ্যে পৌঁছে গেলে টোটো করে ঘোরা শুরু করে দিন l বিকেল 4.51 হাওড়া যাবার রিটার্ন বা 4.59 শিয়ালদহ যাবার (এটা গ্যালপিং ) রিটার্ন ট্রেন ধরে সাড়ে সাতটার মধ্যে কলকাতা ফিরে আসুন l

সাইটসিইং লিস্ট :
আমরা যেভাবে ঘুরেছিলাম সেই ক্রনোলজিকাল অর্ডারে ঘুরতে পারেন l কোনো স্পট বাদ দেইনি l সাথে বলে দেবো কোনটা অবশ্যই দেখবেন, আর কোনটা বাদ দিলেও দিতে পারেন l তবে কালনার মূল আকর্ষণ 108 শিব মন্দির আর কালনা রাজবাড়ী কমপ্লেক্সের অন্তর্গত যে মন্দিরগুলো আছে সেগুলো সময় বেশি নিয়ে ঘুরবেন l

অনন্তবাসুদেব মন্দির ( অবশ্যই দেখবেন ) এখানে ভোগের ব্যবস্থাও আছে l সকাল 11টার মধ্যে গিয়ে বলতে হবে l আটচালা রীতিতে তৈরী l

সিদ্ধেশ্বরী মন্দির ( অবশ্যই দেখবেন ) কালনার বিখ্যাত কালী মন্দির l ঋষি অম্বুর সাথে যোগ থাকার জন্য এই মন্দিরের আরেক নাম হলো অম্বিকা সিদ্ধেশ্বরী কালী l মূল মন্দির জোড় বাংলা রীতিতে তৈরী l

গোপালজী মন্দির ( অবশ্যই দেখবেন ) পঁচিশ রত্ন বিশিষ্ট মন্দির l অসাধারণ কিছু টেরাকোটার কাজ দেখতে পাবেন l দেয়ালের কোণে দেখবেন মৃত্যুলতা রীতির টেরাকোটা l একই রীতি পাবেন পরে রাজবাড়ী কমপ্লেক্সের কৃষ্ণ চন্দ্রজী আর লালাজী মন্দিরে l মূলত এই রীতি রত্নবিশিষ্ট মন্দিরেই দেখা যায় l

 

শ্যামচাঁদ বাড়ি ( অবশ্যই দেখবেন ) এটা অনেকেই মিস করে যায় l কিন্তু আপনি করবেন না l আটচালার মন্দিরের সামনে চারচালার মণ্ডপ যুক্ত আছে l মূল মন্দিরে ঢোকার আগে, বাম দিকে গেলে দোলমঞ্চ দেখতে পাবেন l অনেকে শ্যামচাঁদ বাড়ি বলে শ্যামসুন্দরে পাঠিয়ে দেয় l মনে রাখবেন শ্যামচাঁদ ডাঙাপাড়াতে, শ্যামসুন্দর মহাপ্রভু পাড়াতে l

 

পাতালগঙ্গা ও নামব্রহ্মা জীউ মন্দির (বাদ দিন, দিলেই ভালো ) দুটো একই জায়গায় l পাতালগঙ্গা দেখে সেভাবে কিছু বুঝবেন না l বলা হয় এর সাথে ভাগীরথী ( গঙ্গার ) যোগ রয়েছে l একটা ভূগর্ভ যোগ আর কি ! নামব্রহ্ম মন্দির দেখে বেশ নতুন লাগবে l ঐতিহাসিক কিছু পাবেন না l
 

 

মহাপ্রভু মন্দির ( অবশ্যই দেখবেন ) ভেতরে ছবি তোলা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ l তবে এখানে মহাপ্রভু ও নিত্যানন্দের মূর্তি সবসময় দেখতে দেওয়া হয়না l ভোগ দেওয়ার পর আরতির সময় আপনকে ঝলক দর্শন করতে হবে l এখানেও সকালে ভোগের কুপন কিনতে পাওয়া যায় l যুক্ত দালান রীতিতে তৈরী এই মন্দির l

 

শ্যামসুন্দর মন্দির ( দেখতে পারেন )

​500 বছরের পুরোনো তেঁতুল গাছ যেখানে মহাপ্রভু শ্রীচৈতন্য আর গৌরীদাস পন্ডিত প্রথমবার দেখা করেন ( ঐতিহাসিক কারণের জন্য নেমে একবার দেখাই যায় )

ভবা পাগলার আশ্রম ( অবশ্যই দেখবেন ) ভেতরে ছবি তোলা এখানেও কঠোরভাবে নিষিদ্ধ l এরই পাশে দেখতে পাবেন শিবানন্দ গিরিমহারাজের বাড়ি যা আজ ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে l


চেষ্টা করবেন ওপরে বলা সব মন্দিরগুলো বেলা সাড়ে 12টার মধ্যে দেখে নিতে, কারণ অনেকগুলো মন্দির বন্ধ হয়ে যায় l

 

এরপর আসবে কালনার আইকনিক মন্দির - 108 শিব মন্দির l 1809 সালে বর্ধমানের রাজা তেজচন্দ্র দ্বারা নির্মিত এই মন্দিরকে নব কৈলাশ মন্দিরও বলা হয় l 108 নামে হলেও 109টা মন্দির আছে l দুটো সমকেন্দ্রিক বৃত্তে 108টা আটচালার মন্দির আছে, 34টা ভেতরের বৃত্তে, 74টা বাইরের বৃত্তে l জপমালার 108টা রুদ্রাক্ষর কথা ভেবেই হয়তো এই মন্দির বানানো l
 

 

এই 108 শিবমন্দিরের একদম পাশেই দেখতে পাবেন জলেশ্বর, রত্নেশ্বর (দুটোই পঞ্চরত্ন ) আর রামেশ্বর (আটচালা )মন্দির l
 

এবার ঢুকবেন রাজবাড়ী কমপ্লেক্সে l এখানে সবকটা মন্দির অবশ্যই দেখবেন, কিছু বাদ দেবেন না l এখানে যে মন্দিরগুলো দেখতে পাবেন :
 

প্রতাপেশ্বর মন্দির - দেউল আকৃতির এই মন্দিরের গায়ে অসাধারণ টেরাকোটার কাজ দেখতে পাবেন l মহিষাসুরমর্দিনীর ফেমাস টেরাকোটা এই মন্দিরেই দেখতে পাবেন l

রাসমঞ্চ - খোলা ছাদের এইরকম রাসমঞ্চ বেশ বিরল বলা যায় l
 


রূপেশ্বর মন্দির - চাঁদনী শৈলীতে তৈরী একটা শিব মন্দির l চাঁদনী আর দালান, দুই প্রকারই হলো বাংলার মন্দির গঠন-শৈলীতে ইউরোপীয় ছোঁয়া লাগার বড়ো নিদর্শন l

পঞ্চরত্ন মন্দির - আট চালার পাশাপাশি পাঁচটা মন্দির l তিনটে বড়ো, দুটো ছোট l

কৃষ্ণ চন্দ্রজী মন্দির - পঁচিশরত্নের এক অসাধারণ মন্দির যার গায়ে আপনি অসাধারণ টেরাকোটার কাজ দেখতে পাবেন l লক্ষ্য করলে লাইমস্টোনের স্টাকোর কাজ দেখতে পাবেন চালার খাঁজে l মন্দিরের গায়েই আবার দেখতে পাবেন এক চালার একটা মণ্ডপ l এই মন্দিরেও খুব সুন্দর মৃত্যুলতা দেখতে পাবেন l
 

বিজয় বৈদ্যনাথ মন্দির - আটচালার টেরাকোটা শিব মন্দির, কৃষ্ণ চন্দ্রজী মন্দিরের পেছন দিক দিয়ে যেতে হবে l

গিরি গোবর্ধন মন্দির - আমার চোখে এই মন্দির বেশ অন্যরকম লেগেছে l চারচালার এই মন্দিরের চালে পাহাড়ের রূপ দেওয়া হয়েছে l তাতে কিছু মানুষ আর সাপ, কুমির, মাছ, বাঘের মূর্তি দেখতে পাবেন l পিলারের আকৃতিও বেশ অন্যরকম, যেন পরপর বাবলগাম রাখা l

লালজী মন্দির - পঁচিশরত্নের এই মন্দিরের সামনে আপনি দেখতে পাবেন একটা বড়ো চারচালার নাটমন্দির l এই মন্দিরের সাথে কৃষ্ণ চন্দ্রজী মন্দিরের অনেক সাদৃশ্য পাবেন l মন্দিরের পিলারে দেখতে পাবেন টেরাকোটার ওপর রঙিন কাজ l একই সাথে বাইরে টেরাকোটা আর মন্দিরের চালে স্টাকোর কাজ l এই মন্দির দিয়েই আপনি কালনা বেড়ানো শেষ করতে পারেন l
ধীরে সুস্থে ঘুরলেও আপনার পুরোটা দুটো আড়াইটের মধ্যে ঘোরা হয়ে যাবে l এবার আপনি লাঞ্চ করতে যেতে পারেন l

এক্সট্রা চিজ :


আরও দুটো জায়গার খোঁজ দিচ্ছি l জগন্নাথবাড়ির দুটো মন্দির দেখে আসতে পারেন l মন্দিরের অবস্থা সেরকম ভালো নয় যদিও l দুটো আট চালার মন্দিরের গায়ে দারুণ টেরাকোটা দেখতে পাবেন l আস্তে আস্তে পুরোটাই নষ্ট হয়ে আসার আগে দেখে আসতে পারেন l এরপর যেতে পারেন দাঁতন কাঠিতলা মসজিদে l যদিও এর গায়ের টেরাকোটা কাজ একদম নষ্ট হয়ে গেছে l আনুমানিক 500 বছর পুরোনো এই মসজিদ l একটা ভুতুড়ে জায়গার খোঁজও পেয়েছি, যদিও আমার যাওয়া হয়নি l নাম হলো সমাজবাড়ি l ইচ্ছে হলে ট্রাই নিতে পারেন l

খাওয়া দাওয়া :

ট্রেন জার্নি করলে হেব্বি খিদে পায়, তাই কালনা স্টেশন থেকে বেরিয়েই আগে ব্রেকফাস্ট করে নেবেন l টোটোওয়ালাকে বলবেন সোজা "কালনা সুইট্স" নিয়ে যেতে l সেখানে পেটপুরে কচুরি আর আলুর তরকারি খেয়ে নেবেন l পাতে একটু মিষ্টি নিতে চাইলে মাখা সন্দেশ চেখে দেখবেন l এখানে বেশ ফেমাস l কচুরি 5 টাকা করে, মাখা সন্দেশ 240 টাকা কেজি l বাড়ির জন্য মাখা সন্দেশ নিতে হলে ফেরার পথে একেবারে সিল প্যাক করিয়ে নেবেন l সকালে ব্রেকফাস্ট করে এবার নিশ্চিন্তে সাইটসিইং শুরু করুন l
সাইটসিইং শেষ করে লাঞ্চ করতে যাবেন l টোটোওয়ালাকে বলুন রলিক রেস্টুরেন্ট যাবো l এটা এ সি রেস্টুরেন্ট হলেও দাম রিজেনেবেল l মুঘলাই, চাইনিজ ছাড়াও আপনি বেশ সুন্দর সরু চালের ভাত, ডাল, তরকারি, মাছ, মাংস সবই পাবেন l খাবারের মান যথেষ্ট ভালো আর ভরসাযোগ্য l দাম মোটামুটি 100- 250 টাকার মতো l রেস্টুরেন্টটা কলেজ মার্কেটে l সিঁড়ি দিয়ে দোতলায় উঠে যাবেন l সামনে কালনা কলেজ দেখতে পাবেন l
এছাড়া আপনি চাইলে আগে থেকে কুপন নিয়ে অনন্তবাসুদেব মন্দিরে বা মহাপ্রভু মন্দিরের নিরামিষ ভোগ খেতে পারেন l কিন্তু তার জন্য আপনাকে সাইটসিইং ফেলে আসতে হবে বা আমার প্ল্যানিংটা আপনাকে নিজের মতো ঢেলে সাজাতে হবে l


কী পয়েন্টস :
1. লেখা পড়ে এক্সসাইটেড হয়ে যাবার চেষ্টা তো এখন করবেনই না l করোনার জন্য লক ডাউন মানুন আর ঘরে থাকুন l তারওপর যা গরম, যাবার প্রশ্নই ওঠেনা l সেপ্টেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারীর শেষ সপ্তাহ অবধি হলো কালনা যাবার ভালো সময় l কিন্ত শীতেই বেশি ভালো l
2. আগেই বলেছি হাওড়া থেকে কাটোয়ার সারাদিনে 12/13 খানা ট্রেন চলে l সকাল 8টার ট্রেনটা নিন l ফেরার সময় 4.51 রিটার্ন ট্রেন ধরুন l ট্রেনের ভাড়া এক পিঠের 25 টাকা করে l এদিকে শিয়ালদহ থেকে সারাদিনে 4 খানা ট্রেন পাবেন l লোকাল ট্রেন বলে আলাদা করে ট্রেন নং দিলাম না l
3. ঘোরার জন্য টোটো বেস্ট l দুজনের নম্বর দিচ্ছি :
সঞ্জীব, ফোন নং : +919547887949, এ বেশ ভালো l আরেকজন হলো বাপ্পা, ফোন নং : +919641344821.
স্টেশন থেকে শুরু করে এইসব জায়গা ঘুরে, লাঞ্চ করে স্টেশন ফিরতে আপনার টোটোভাড়া নেবে 300 টাকা l এর বেশি দেবেন না l তবে একটা কথা, টোটোওয়ালাকে আগেই বলে দেবেন আপনি ভালো করে ঘুরবেন, শেষে রোলিকে লাঞ্চে যাবেন আর তারপর স্টেশন ফিরবেন l স্টেশন ফিরতে আপনার বিকেলে চারটে বাজবেই l ওরা চেষ্টা করে দুপুর দুটো তিনটের মধ্যে আপনাকে স্টেশন ছেড়ে আসার তাহলে লোকাল ট্রেনের প্যাসেঞ্জার পাবে l
4. এই ট্রিপে খরচা বেশি নেই l দু পিঠের ট্রেন ভাড়া 50 টাকা l টোটো 300 টাকা l এটা আপনার ফিক্সড কস্ট l আর বাকি চা -জল, খাওয়া দাওয়া, মিষ্টি কেনা আপনার নিজের l আমরা তিনজনে গেছিলাম, এই সব কিছু করে আমাদের প্রতিজন আনুমানিক 300 টাকা করে খরচা হয়েছিলো l রলিকে না খেয়ে আরও সাধারণ জায়গায় খেলে আরেকটু কম হবে l
5. কালনায় সরস্বতী (মাঘ মাসে ) আর মহিষমর্দিনী পুজো (শ্রাবণ মাসে হয় )খুবই বিখ্যাত, খুব বড়ো করে পুজো হয় l সময় সুযোগ হলে দেখে আসতে পারেন l চার পাঁচদিন ধরে উৎসব পালন করা হয় l
6.উপরোক্ত সব তথ্য ও খরচ ফেব্রুয়ারী 2020 অনুসারে l ছবিগুলো ফেব্রুয়ারী 2020 তে তোলা হয়েছে l

কালনায় ঘুরলে বুঝবেন পরতে পরতে ইতিহাস লুকানো আছে...অলিতে গলিতে তার নিদর্শন পাওয়া যায় l সময় করে একদিন যাবেন, ইতিহাসের পাতা উল্টে আসতে l
 

Meet the Blogger

Pratik Mukherjee


Name- Pratik Mukherjee
Profession- Technical professional in Heavy Automotive Industry
City- Kolkata
Hobbies- Photography,Travelling and Travel Blogging. Love watching movies and listening EDM.
Previous Tours-
West Bengal: Murshidabad, Malda, Shantiniketan, Digha,Mogholmari & Kurumbera Fort, Purbasthali, Digha,
National: Ghatshila, Vizag, Bangalore, Hampi, Bijapur, Badami, Pattadakal, Aihole,
International: Bhutan, Sri Lanka, Cambodia, Thailand, Myanmar.



You may also like