বাড়ি থেকে বেরোনোর জন্য মনটা আনচান করছিল বেশ কিছুদিন ধরেই । সেই প্রেগন্যান্সীর সেকেন্ড ট্রাইমেস্টারে বেবীমুন ট্যুরে কেরালা । তারপর থেকে চিকুর ফার্স্ট বার্থডে সামনের সপ্তাহে । প্রায় গৃহবন্দী আমাদের ট্যুর প্লেনার । তার নিজের কথায়, ‘পায়ের তলায় সর্ষে ‘। তাই পায়ের তলার পিচ্ছিল ভাবটা বাড়ছিল দিন দিন ।
প্রোপাজালটা এলো হঠাৎ করে । এ প্রোপোজাল কিন্তু নিখাদ ঘুরতে যাওয়ার নয় । বরং নিখাদ খেতে যাওয়ার ও বলা যেতে পারে । ঝিরঝিরে বৃষ্টিতে দীঘা মোহনার ‘প্রায়’ টাটকা ইলিশ সহযোগে সমুদ্র উপভোগ করা । আপনি ঘটি হোন বা বাঙাল, মোটকথা বাঙালী হলেই এ টানকে উপেক্ষা করার সাধ্য আছে বলে মনে হয়না । তাই রোহিতামৃতার এই প্রস্তাবে অমৃতের স্বাদ খুঁজে পেয়ে তার রসাস্বাদনে নিজেদের বঞ্চিত করার বোকামোটা আর করতে পারলাম না ।
আড্ডার ফাঁকে চায়ের কাপে চুমুক দিতে দিতে প্রস্তাবটা এল রোহিতের কাছ থেকেই । চলো ঘুরে আসি । কাছেপিঠে কোথাও । ইলিশের গল্প উঠতেই প্রাথমিক ভাবে দীঘা যাওয়ার প্ল্যান হল । কলকাতা থেকে দীঘা যাওয়া আসার অন্যতম আকর্ষন হল উইকএন্ড ট্রিপ, লং ড্রাইভ এবং কোলাঘাটে ব্রেকফাস্ট করা । তাই ঠিক হল শনিবার সকাল সকাল বাড়ি থেকে বেরিয়ে কোলাঘাটে পৌঁছে ব্রেকফাস্ট করবো । তারপর সোজা দীঘা ।
আসল চ্যালেঞ্জটা হল চিকুকে নিয়ে বেরোনো । সামনের ২৮ তারিখ ও একবছর হবে । ওর দশ্যিপনায় পাড়াপড়শিও অস্থির হয়ে উঠে । বাবা মার সাথে ওর ও এটা প্রথম বেড়াতে যাওয়া । শুক্রবার রাত্রে বাড়ী ফিরে প্যাকিং শুরু করলাম । চিকুর খাবারদাবার, ঔষধ পত্র, জামা কাপড়, পটিসেট সবমিলিয়ে দুটো ব্যাগ । আর আমাদের আলাদা করে একটি ছোট্ট ব্যাগ । অমৃতার ফোন ।
-- কখন বেরোবো আমরা ?
-- ৭ টা নাগাদ ।
-- কোলাঘাট পৌঁছে ব্রেকফাস্ট ।
-- ঠিক আছে।
ফোন রেখে সবকিছু মিলিয়ে নেওয়া । ক্যামেরার ব্যাটারীটা চার্জ এ বসালাম ।
রাত্রি ১১:৩০ মিনিটে কোয়ার্টার ফাইনালে মুখোমুখি ব্রাজিল আর বেলজিয়াম । ম্যাচ শেষ করে ঘুমোতে যেতে হবে । তাই ম্যাচ যেন এক্সট্রা টাইমে না যায় ।
বাঙালী হিসেবে একটা বিশেষ গর্ব আছে আমার । তাই কোন কাজে ২০-৩০ মিনিট দেরী হওয়াটাকে বিশেষ ধর্তব্যের মধ্যে আনি না আমি । সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠলাম ঠিক সময়ের । পুচুকে ঘুম থেকে ওঠানোর কাজটাও বেশ কঠিন । অক্লান্ত দশ্যিপনার মাঝেও ঘুম থেকে উঠেই ওর ওরকম অমলীন নিষ্পাপ হাসির জন্যই অপেক্ষা করে বসে থাকা যায় । আমরা রেডি । কিন্তু চিকু এখনও বিছানায় ।
ক্রিং-ক্রিং, ক্রিং-ক্রিং । অমৃতার ফোন ।
-- কিরে তোরা রেডি ?
-- হ্যাঁ, অলমোষ্ট ।
-- জানি তুই বরাবরের মতো দেরী করবি ।
-- ৭:৩০ এ বেরোবো ।
-- ওকে । আমরা গাড়ী নিয়ে চলে আসবো ।
পুচুকে ঘুম থেকে তুলে গুড মর্নিং করলাম । ওর সকালের কাজগুলো কমপ্লিট করিয়ে ওকে রেডি করানো হল । ফ্লাক্স ভর্তি গরম জল, ওর জন্য ফোটানো জল, খাবার সবকিছু নিয়ে নিলাম ।
রোহিতামৃতা নীচে গাড়ী নিয়ে অপেক্ষা করছে ।
ব্যাগপত্র গাড়ীতে তুলে বসলাম গাড়ীতে । রোহিত ড্রাইভ করবে । ও এক্সপার্ট ড্রাইভার । ঠান্ডা মাথায় নিয়ন্ত্রিত গাড়ী চালায় । পাশের সিটে আমি আর আমার পুত্র । পিছনে অমৃতা আর নিবেদিতা। গাড়ীতে উঠলেই, সামনের সারীর বাঁ দিকের সিটটা চিকুর জন্য ফিক্সড । ও সবকিছু দেখতে দেখতে যাবে । আজকাল ওর দশ্যিপনা আরো বেড়েছে । ওর নজর গিয়ার লিভারের দিকে । যে কোনো সময় ধরে টান মারবে । এইটুকু বয়সেই ও বেশ বোঝে যে গিয়ার লিভারটা দিয়ে কিছু একটা হয় গাড়ী চালানোর সময় । ট্রাফিক সিগন্যালে গাড়ী দাঁড়িয়ে থাকার সময় একবার নিউট্রাল থেকে ৪ নম্বর গিয়ারে শিফ্ট করে দিয়েছে ও । তাই ওকে নিয়ে এত্তটা রাস্তা যাওয়াটাও বেশ চাপের । রোহিত ও বেশ সায় দিচ্ছে ওর দশ্যিপনায় ।
এয়ারপোর্ট ছাড়িয়ে বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়েতে আমরা । গাড়ী চলছে হু হু করে । সকালের দিকে ট্রাফিকটা একটু কম । দক্ষিনেশ্বর । নিবেদিতা সেতু । টোলপ্লাজা । ও হ্যাঁ নিবেদিতা সেতু বলতেই মনে পড়ল । ইদানীং দক্ষিনেশ্বরের পাশে গঙ্গায় এমন চড়া পড়েছে যে ভাটার সময় পায়ে হেঁটে গঙ্গা পারাপার করা যায় । প্রায় ৬০-৭০ ভাগ পর্যন্ত হাঁটু জল । তারপর একবুক বা একগলা । কয়েকটা দামাল ছেলে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে পতিতপাবনী গঙ্গা ।imj
টোলপ্লাজা ছাড়িয়ে আমরা এনএইচ -৬ এ এসে পড়েছি । বোম্বে রোড । সলপ ছাড়িয়ে কিছুটা এগোলেই পাকুড়িয়া ব্রীজ । কয়েকদিন আগেই রবিবাসরীয় সকালের জয় রাইডে ৩.৬ কোটি টাকা দামের ফেরারি ক্যালিফোর্নিয়া টি র ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনার প্রান হারিয়েছেন একজন গাড়ী প্রেমী । সেই নিয়ে ঘন্টাখানেকও হয়েছে । কিন্তু বাস্তবচিত্রটা আরও ভয়ঙ্কর । ন্যাশনাল হাইওয়ে ৬ এর এদিকের অংশটাতে যান নিয়ন্ত্রন খুবই কম । এবং রাস্তার অবস্থাও সেরকম না । তার উপর মালবাহী লরি গুলোর তান্ডব । খুব সাবধানে গাড়ী না চালানো বিপদ কে বাড়ীতে নিমন্ত্রণ করে খাওয়ানো হবে । তাই রোহিতকে বললাম আরও আস্তে চালাতে ।
ধূলাগড় টোল প্লাজা পেরিয়ে এসেছি । এবার গাড়ীতে তেল ভরে নিতে হবে । এরই মধ্যে ঘটে গেল একটি দুর্ঘটনা । রাস্তার উল্টোদিক থেকে হেঁটে আসা একজন পাগল এর জীবন বাঁচাতে গিয়ে একটি এসবিএসটিসি বাস হঠাৎ বাঁদিকে কিছুটা সরে আসে । বাসটির সাথে সমান্তরালে থাকা একটি লরি তা দেখে বাসটিকে ডানদিকে চাপতে থাকে দেয় । বাসের ড্রাইভার ব্রেক কষেন সজোরে । লরির ধাক্কায় বাসের উইন্ড স্ক্রীন গুঁড়ো গুঁড়ো হয়ে যায় । বড় কোন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি । কিন্তু চোখের সামনে এরকম দুর্ঘটনা দেখে মনটা অস্থির হয়ে উঠল ।
যাইহোক, গাড়ীতে তেল নেওয়া হল । পরবর্তী স্টপেজ কোলাঘাট ।
রূপনারায়ণের তীরে কোলাঘাট আমার কেমন জানি না মনে হয় শুধু খাবারের জায়গা । হোটেল-রেস্তোরাঁতে ভরপুর এই জায়গায় আসলেই কেমন খিদে খিদে পেয়ে যায় । আজকাল তো কলকাতা থেকে অনেকেই শখ করে এখানে খেতেই আসেন । আর তাছাড়া দিঘা, মেদিনীপুর যাওয়ার পথেও সবার এখানে একবার থামা চাই । আমরাও থামলাম । কোলাঘাটে একটা ছিমছাম রেস্তোরাঁতে ব্রেকফাস্ট করার জন্য । গরম গরম কচুরি আর তরকারি পেট পুরে খেলাম । তারপর চা । চা খেয়ে এবার রওনা দিলাম দীঘার পথে । দীঘা যাওয়ার রাস্তায় কাজ চলছে । চওড়া রাস্তা করার জন্য একটা সাইডকে খুঁড়ে ফেলা হয়েছে । তাই গাড়ি চালাতে হচ্ছে বেশ সাবধানে এবং গাড়ির গতি অনেকটাই কম । আবার দীঘা যাওয়ার এই রাস্তার খুব বদনামও রয়েছে দুর্ঘটনার জন্য। মত্ত অবস্থায় বাজেভাবে গাড়ি চালানো লোকের সংখ্যা কম নয় । যদিও তারা বেশিরভাগই ট্যুরিস্ট । আমরাও সাবধানে এগিয়ে যেতে লাগলাম । আমাদের কোন হোটেল বুক করা নেই । এটা খুব প্ল্যানড ট্যুর নয় । তাই আমার এক সহকর্মী কে ফোন করলাম যে দীঘাতে থাকে । বললাম, ভাই দীঘা আসছি । হোটেল লাগবে, দুটো রুম । ও একদিকে আমার সহকর্মী আর একদিকে আমার ভাই । কলেজের জুনিয়ার । বললো, দাদা চলে এসো, আমি আছি এখানে । আর একটা ছোট্ট ব্রেক নিলাম । তারপর আবার যাত্রা শুরু দীঘার পথে । নন্দকুমার, কাঁথি, রামনগর হয়ে দীঘা । পৌঁছে প্রথমে তার সাথে দেখা করলাম।সে আমাদের জন্য এক দুটো হোটেলের সন্ধান জেনে রেখেছিল, কিন্তু আমরা সমুদ্রের ধারে কাছে হোটেল খুঁজতে গেলাম।
দীঘাতে হোটেল গুলোতে একটা অদ্ভুত ব্যাপার কাজ করে । অনেক হোটেলেই একদিনের জন্য রুম ভাড়া দিতে রাজি হয় না । আগে জিজ্ঞেস করে নেয় কতদিনের জন্য । আপনি যদি দুদিনের কম দিনের জন্য রুম নিতে চান তারা শটান জানিয়ে দেয় যে রুম ফাঁকা নেই । একটি হোটেলে গিয়ে প্রথমেই মনটা খারাপ হয়ে গেল । যাই হোক সেই ভাইয়ের সাথে তার জানাচেনা একটি হোটেলে গেলাম । হোটেলটি একটু ভেতরের দিকে, কিন্তু বেশ সুন্দর । একেবারে নতুন । ম্যানেজার আবার রোহিতের চেনাজানা বেরিয়ে গেল । একেবারে সোনায় সোহাগা । হোটেলে চেক ইন করে, খাবার দাবার অর্ডার করে, ব্যাগপত্র রেখেই সমুদ্র স্নানে বেরোলাম । সমুদ্র তে প্রায় ঘন্টাখানেক কাটিয়ে উঠলাম । চিকুকে নিয়ে এলাম তার পায়ে একটু ঢেউ লাগানোর জন্য । ঘন্টাখানেক ধরে ঢেউয়ের ধাক্কায় ক্লান্ত হয়ে উঠেছি । উঠে বসলাম একটা মোটর ভ্যান এ। সোজা হোটেল ।
নোনতা জল থেকে ফিরে মিষ্টি জলে স্নান সেরে রেস্তোরাঁতে এলাম । খুবই সুস্বাদু খাবার দাবার । বেশ তৃপ্তি করে খাওয়া গেল । এবার একটু রেস্ট দরকার । রেস্ট নিয়েই আবার সমুদ্র যাওয়া । না এখন আর জলে নামবো না । একটু সমুদ্রের পাড়ে বসে সমুদ্র দেখব । সূর্যের তাপ কমতেই আমরা আবার এলাম সমুদ্রের পাড়ে । দীঘা এখন খুব সুন্দর ভাবে সেজে উঠেছে । সেই গাদাগাদি করে ঘিঞ্জি হয়ে থাকা দোকানগুলো এখন সারিবদ্ধ । পাড় বরাবর পায়ে হাটার সুন্দর সাজানো রাস্তা । কিন্তু কেন জানিনা আমার মনে হলো এইসব সৌন্দর্যায়নের ফলে দীঘার সমুদ্রতটের ঝাউবনের কিছুটা হয়তো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে । যাই হোক, গল্পে আড্ডায় সময়টা বেশ কাটল । আলো অনেকটা কমে এসেছে ।
সমুদ্রের হাওয়ায় একটা ঠান্ডা ঠান্ডা ভাব লাগছে । সমুদ্রের তীরে বসে থাকলে মুখে, মাথায় বা গলায় একটা নুন নুন ভাব লাগে । জানিনা কেন । বেশ কিছুক্ষণ পর আমরা ফিরে এলাম আমাদের হোটেলে । খাবারের অর্ডার দিয়ে এলাম । চিকুর জন্য খাবার বানিয়ে দিয়েছে হোটেল থেকে । চিকুকে খাবার খাওয়াতে অনেকটা সময় লাগে । তাই সবাই মিলে আড্ডা দিতে দিতে খাওয়ানো শুরু হল । কমপ্লিট করে আমরাও গেলাম ডিনার সারতে । আবারো আড্ডা । রাত্রি বাড়তে বুঝতে পারলাম যে চিকুর বেশ ঠান্ডা লেগেছে । নাক বন্ধ হয়ে যাচ্ছে । শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে । ওর ওষুধের ব্যাগটা আনতে ভুলে গেছি । রাত্রি সাড়ে এগারোটা বারোটা হবে । একটা স্যালাইন ন্যাসাল ড্রপ নাহলে হয়তো রাতে ঘুমোতে পারবে না । তার সাথে ওর পেটে একটু ব্যথা ব্যথা মনে হচ্ছিল । কি করব বুঝতে না পেরে রাতে ফোন লাগালাম রোহিতকে । সাথে সাথে বেরিয়ে এল । দুজনে মিলে হোটেলের বাইরে বেরোলাম ওষুধের খোঁজে । হোটেল থেকে একটু দূরে একটা ডাক্তারখানা ছিল । কিন্তু সেটা বন্ধ হয়ে গেছে । যাইহোক অনেক ঘোরাঘুরির পর এতরাত্রেও একটি ওষুধের দোকান খোলা পেয়ে পুরনো প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী ওষুধ নিলাম । ফিরে এসে ওষুধ এবং নাকের ড্রপ দেওয়াতে কিছুটা স্বস্তি পেল । চিন্তায় আমাদের খুব একটা ঘুম হলো না । যাই হোক বাকি রাতটা নির্বিঘ্নে কাটলো ।
পরদিন সকালে আমরা মোহনার কাছে মাছের সন্ধানে । মোহনার ওখানে গিয়ে দেখি প্রচন্ড ভিড় । ভোর ভোর যারা এসেছেন, তারা মাছ কিনে ফিরছেন । আমাদের আসতে একটু দেরি হয়ে গেছে । গাড়ী পার্ক করে গিয়ে আমরা মাছের খোঁজ করতে লাগলাম । দেখলাম এবছর এখনও পর্যন্ত সেই ভাবে মাছ আসেনি । ইলিশ খুব একটা উঠছে না । তাই দামও আকাশছোঁয়া । কিন্তু, যখন এসেছি তখন মাছ নিয়েই যাবো ।
খোঁজাখুঁজিতে একটি আড়াই কিলো ওজনের ইলিশ পেলাম । দামটাও যদিও আকাশছোঁয়া । তাও কিনে ফেললাম । সাথে পমফ্রেট । মাছ কিনে আইস প্যাক করিয়ে গাড়িতে তুলে নিলাম । মাছের বাজারে ঘুরে ঘুরে রঙিন কাঁকড়া, বড় বড় দাঁড়া ওয়ালা চিংড়ি, শংকর মাছ সহ নানান রকমের মাছের বাজারে ঘুরে ঘুরে দেখলাম । কাদায় প্যাচপ্যাচে অবস্থা । খুব একটা হেঁটে চলে বেড়াতে ইচ্ছে করছিল না । মাছ নিয়ে সটান ফিরে এলাম গাড়িতে । এই মাছগুলো ৭২ ঘণ্টার মতো থেকে যাবে । আমরা আজকেই ফিরব । তাই আজ বিকেল পর্যন্ত থাকলেই চলবে । ব্রেকফাস্ট এবং লাঞ্চের অর্ডার দিলাম এবং হোটেলে জানিয়ে দিলাম আমরা লাঞ্চ করে বেরোবো । ব্রেকফাস্ট করে আবার সমুদ্রে । আবারো ঘন্টাদুয়েক সমুদ্রে দাপিয়ে বেড়ালাম । ফিরে চান সেরে লাঞ্চ । চিকুকে খাওয়ানো । চেক আউট । গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম । কিছুক্ষণ ঘুরলাম এদিক ওদিক । ফিরতে হবে অনেকটা রাস্তা । তাই আর বেশি দেরি করা সমীচীন বোধ করলাম না । বেরিয়ে পড়লাম ভাঙ্গা রাস্তা ধরে । মাঝখানে চা পান । তারপরে কোলাঘাটে এসে আবার খাওয়া-দাওয়া । কলকাতা ফিরতে ফিরতে প্রায় সাড়ে আটটা বেজে গেছিল । পরের দিন সকালে ইলিশ খানা কাটিয়ে, দুপুরে সরষে ইলিশ । শুধু ইলিশ খাওয়ার জন্যেই অফিস কামাই । পমফ্রেট গুলো একটু বড় সাইজের ছিল । ফ্রাই করার পর খুব নোনতা লাগছিল । ইলিশের স্বাদ মোটামুটি, কিন্তু এত বড় ইলিশ দেখে সবার চক্ষু ছানাবড়া ।
Name: Chandan Garai
Profession- Govt. Service
City- Ranibandh, Bankura / Kolkata
Hobbies- Photography, Travelling, Writting
Previous Tours- Kerala & Kanyakumari, Sandakphu, Sikkim, Spiti Valley, Sundarban, Dooars, Darjeeling, Kalimpong, Gopalpur – Chilika, Jungalmahal of Bankura, Purulia & Paschim Medinipur District etc.