Tripsee Treks  and Tours LLP
Blog and Travel with Us

উত্তরাখণ্ডের খন্ড পথে



Soumen Chakraborty Soumen Chakraborty

সারাদেশ যখন সিএবি এবং এনআরসি নিয়ে ধর্মঘট সংঘর্ষে ব্যস্ত তখন মনের মধ্যে সংশয় হয়েছিল আদৌ আমাদের যাত্রাটা হবে তো? কিন্তু শেষে সবার মানসিক ইচ্ছায় সমস্ত বাধা বিপত্তি কাটিয়ে আজ 27 শে ডিসেম্বর সকাল 8:15 হাওড়া স্টেশন থেকে আমাদের ট্রেন যাত্রা করল লালকুয়ার উদ্দেশ্যে। আমরা বলতে আমার 60 উর্ধ মা,আমার শশুর-শাশুড়ি, স্ত্রী, আমার সাত বছরের ছেলে আর আমার স্ত্রীর মাসি-মেসো এবং তার 14 বছরের মেয়ে নিয়ে মোট নয়জন সদস্য।

গাড়ি যথাসময়ে ছেড়ে যখন এক এক করে বর্ধমান পেরিয়ে দুর্গাপুর, আসানসোল ছাড়িয়ে ধানবাদ এর দিকে যাত্রা করেছে তখন জানলার ধারে সিটে বসে বসে বাইরের প্রকৃতির শোভা দেখতে দেখতে মনটা নিজে থেকেই আনন্দে নেচে উঠছে। এই ভাবেই রাত একটার সময় বেনারস পৌঁছে গেলাম তারপর গাড়ি ছাড়তেই আবার লম্বা ঘুম।ঘুম ভাঙলো সেই পরদিন ভোর ছটায়। জানলার বাইরে তাকিয়ে দেখি আমরা প্রায় কাছাকাছি চলে এসেছি আর কয়েকটা স্টেশন পরেই আমাদের গন্তব্য স্টেশন লালকুয়া।

ট্রেনের লালকুয়া পৌছানোর সঠিক সময় ছিল সাতটা কুড়ি, কিন্তু ট্রেন যখন লালকুয়া পৌছালো তখন ঘড়িতে সাড়ে নটা বেজে গেছে ।স্টেশনে নেমে কিছু জলযোগ করে তড়িঘড়ি করে আমরা একটি গাড়ি ঠিক করে রওনা দিলাম ভীমতাল। আমাদের প্রথম গন্তব্য স্থল ভীমতাল হয়ে আলমোড়া। লালকুয়া থেকে আলমোড়ার ডিসটেন্স প্রায় 117 কিলোমিটার, সময় লাগে প্রায় সাড়ে তিন  ঘন্টা। আমাদের গেস্ট হাউস বুক করা আছে আলমোড়া শহর থেকে আরো 13 কিলোমিটার দূরে কোশি নদীর ধারে নির্জন প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরা হাওয়ালবাগ নামক একটি স্থানে। সেদিন আলমোড়া পৌঁছাতে আমাদের প্রায় দুপুর ২-৩০ হয়ে গিয়েছিল। সময় লেগেছিল প্রায় সাড়ে চার ঘন্টা। গাড়ি যখন আমাদের গেস্ট হাউসের সামনে থামল তখন বেলা প্রায় পড়ে এসেছে, বিকালের পড়ন্ত রোদ চারিদিকের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে আরও মোহময় করে তুলেছে। আমরা সেই সৌন্দর্যকে তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করতে লাগলাম।

 

আমাদের গেস্ট-হাউসটি চারিদিকে পাহাড়ে ঘেরা, মাঝখানে সমতল জায়গায় কৃষি কাজ চলছে, নানারকম বীজ বপন করা হয়েছে, আর তার মাঝে আমাদের এই গেস্টহাউসটি এক কথায় অপূর্ব, অনবদ্য, অতুলনীয় সৌন্দর্য্যে ভরা । গাড়ি যখন আমাদের গেস্ট হাউসের কম্পাউন্ডে থামল তখন দূরে দেখা যাচ্ছে তুষারশুভ্র পর্বত রাশি। ত্রিশূল, চৌখাম্বা এরকম আরো অনেক নাম-না-জানা (আমার অচেনা) পর্বতের তুষারশুভ্র পর্বতশ্রেণী।  এছাড়া চারিপাশে বড় বড় পাহাড় আর পাহাড়ের পাদদেশে ধাপে-ধাপে চাষ করা নানা রকম শাকসবজি, ফলের বাগান। এদের মাঝে আমাদের অপূর্ব গেস্টহাউসটি একটি সুন্দর মেলবন্ধন ঘটিয়েছে প্রকৃতি ও নির্জনতার সাথে।

 সেদিন আর কোথাও বেরোনোর প্রোগ্রাম ছিল না। ঘড়ির কাটায় চারটে বাজে। আকাশে বিকেলের ঝলমলে রোদ, তাই এক কাপ চা খেয়ে হাঁটা দিলাম কোশী বাজারের দিকে।বাজারটি বাসস্ট্যান্ডের কাছে, একদম পাহাড়ের পাদদেশে, কোশি নদীর ধারে।আমরা পাহাড়ের ঢাল বেয়ে নেমে কোশী ব্রিজ পেরিয়ে একটি দোকানে গরম গরম সিঙ্গারা এবং চায়ের অর্ডার দিয়ে প্রকৃতির শোভা উপভোগ করতে করতে বেশ কিছুটা সময় কাটালাম। ওখানে স্থানীয় কিছু লোকের সঙ্গে আলাপও হলো। আলাপচারিতায় তারা যখন জানতে পারলো যে আমরা পাহাড়ের উপরে  গেস্ট হাউজে উঠেছি তখন তারা আমাদেরকে সেই গেস্ট হাউসে সন্ধ্যার আগেই ফিরে যেতে পরামর্শ দিলো। কারন জিজ্ঞাসা করলে তারা একসঙ্গে সমস্বরে বলল যে সন্ধ্যের পরে পাহাড়ের নিচে না আসাই ভাল কারণ এখানে খুব চিতাবাঘের উপদ্রব।তা শুনে সঙ্গে সঙ্গে সময় নষ্ট না করে তাড়াতাড়ি হাঁটা লাগালাম। আমাদের পাহাড়ের উপরের গেস্টহাউসে পৌছাতে পৌছাতে সন্ধ্যা হয়ে গেল। একটা গা ছমছম্যা রহস্য রোমাঞ্চ অনুভব হচ্ছিলো।

রাত আটটার সময় গেস্ট হাউস থেকে কল এলো রাতের ডিনার পর্ব শেষ করার জন্য ।গেস্টহাউসের ক্যান্টিন আমাদের অতিথি গৃহ থেকে প্রায় এক কিলোমিটার নিচে, মেন রাস্তার পাদদেশে অবস্থিত। সেখানে গরম গরম রুটি তরকারি ডাল ভাত খেয়ে আমরা রাতে এসে মোটা কম্বলের তলায় আশ্রয় নিলাম।

পরদিন সকালে পাহাড় থেকে নেমে কোশী বাজারে গিয়ে একটি মাহিন্দ্রা ম্যাক্স  গাড়ি ঠিক করা হল 2000 টাকায়। সেখান থেকে  61 কিলোমিটার দূরে গোমতী নদীর তীরে বাইজনাথ মন্দির দর্শন এবং ফিরতি পথে কৌশানি দেখবো বলে। জয় ভোলেনাথ বলে আমরা দশটার সময় যাত্রা শুরু করলাম কৌশানি এবং বাইজোনাথের  পথে।দু'ধারে পথের দৃশ্য নয়নাভিরাম। চারিদিকে সূউচ্চ পাহাড়।মাথার ওপরে শীতের ঘন নীল আকাশ এবং মাঝে মাঝে রাস্তার একপাশে নদীর উপস্থিতি আমাদের যাত্রাপথ কে আরো সুন্দর করে তুলল। পথের মাঝে বেশ কয়েক জায়গায় থামতে থামতে হলো, তাই প্রায় তিনঘণ্টা বাদে আমরা এসে পৌঁছলাম বৈজনাথ মন্দির। এই মন্দিরটি বলা হয় মহাভারতের সমসাময়িক সময়ের মন্দির। মন্দিরের স্থাপত্য পাহাড়ের অন্যান্য মন্দিরের মতনই একচালা, একই রকম পাথরের তৈরি, মাথার ওপর কাঠের আচ্ছাদন দেয়া । মন্দিরের উচ্চতা খুব একটা বেশি নয় ওখানে একটি মন্দির দেখলাম তালা দেয়া সশস্ত্র পাহারা বসানো। তাদেরই একজন কে জিজ্ঞাসা করলাম তালাবন্ধ মন্দিরের রহস্যটা কি ? তারা বলল যে মন্দিরের বহুমূল্য মূর্তি সেখানে রাখা আছে এবং এটি ভারত সরকারের তত্ত্বাবধানে রয়েছে।পরবর্তীকালে মন্দিরের পাশেই মিউজিয়াম তৈরি করে সেখানে এই পাথরের মূর্তি গুলি রাখা হবে । মন্দিরের গায়ে থেকে খুলে নিয়ে এখন মূর্তিগুলো রাখা আছে তালাবন্ধ অবস্থায়। তা নাহলে পাচার হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি তাই এই ব্যবস্থা।

মন্দিরের পাশে দেখলাম একটি কৃত্রিম জলাশয়, সেখানে বোটিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে ।

এবার আমরা ফিরতি পথে যাত্রা করলাম ।প্রায় ঘন্টা দেড় পাহাড়ী পথে নেমে আসার সময় দেখা হলো কৌশানির সঙ্গে ।যে তুষার শৃঙ্গ আমাদের পথে চলতে চলতে সব সময় সঙ্গ দিচ্ছিল সেই গুলি কৌশানিতে এসে  যেন সুন্দরভাবে নিজেদের মেলে ধরেছে।কৌশানি থেকে নাকি সূর্যোদয়ের দৃশ্য অসাধারন দেখতে, কিন্ত আমাদের সেই সুযোগ ছিল না।কৌশানির অনাশক্তি আশ্রমের লনে দাঁড়িয়ে চির তুষার আবৃত শৃঙ্গ গুলিকে দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। এ জীবন সার্থক, এই চোখ সার্থক, অপরূপ শোভা দেখানোর জন্য পরমেশ্বরকে ধন্যবাদ দিতে থাকলাম। বিকালের মধ্যে গেস্ট হাউসে ফিরে রাত আটটার সময় খাওয়া-দাওয়া শেষ করে মোটা কম্বলের তলায় আশ্রয় নিলাম বাইরে তখন 4° সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রা দেখাচ্ছে আমার মোবাইলে।

  পরদিন ভোরবেলা আমাদের ক্যান্টিনে বসে গরম গরম আলু পরোটা দিয়ে আমাদের সকালের ব্রেকফাস্ট যখন শেষ করছি তখন বাইরে তাপমাত্রা 2 ডিগ্রী সেন্টিগ্রেট।ঘন কুয়াশায় মোড়া চারিদিক। 

ঘড়ির কাটায় যখন সাড়ে নটা, তখন আমাদের ক্যান্টিনের বাইরে গাড়ি নিয়ে হাজির আমাদের আজকের পথের সঙ্গী, আমাদের গাড়ির ডাইভার অবতারসিং নেগী। (মোবাইল নং  7900680079) আলমোরা থেকে নৈনিতাল পর্যন্ত আমাদের পরবর্তী দু'দিনের সফর সঙ্গী এই মৃদুভাষী  সদব্যাবহার সম্পন্ন একজন মানুষ। পরে দেখেছিলাম পাহাড়ি রাস্তায় এনার দক্ষতা এককথায় প্রশংসনীয়। সবাই মিলে তাড়াতাড়ি তার গাড়িতে চেপে বসলাম সেখান থেকে 45 কিলোমিটার দূরে জাগেশ্বর এর উদ্দেশ্যে। আলমোড়া বারচিনা রোড ধরেআমাদের গাড়ি ছুটে চলল বাবা জাগেশ্বর ধামের দিকে। কিলোমিটার হিসাবে এদিক থেকে আজকে যাত্রাপথ কম হলেও এই পথে অসংখ্য বাঁক, তাই পথে বেশ কয়েকবার গাড়ি দাঁড় করানোর পরে জাগেশ্বর এ পৌছালাম ঘন্টা তিনেক বাদে।

প্রাচীনত্বের দিক থেকে জাগেশ্বর মন্দির বেশ পুরনো। পাথরের একটি বড় মন্দির এবং তার সাথে সাথে অসংখ্য ছোট ছোট শিবের মন্দির নিয়ে পুরো জাগেশ্বর মন্দির। সমস্ত মন্দিরগুলি সিলেট পাথরের তৈরি। জাগেশ্বর বাবার মন্দির এর মাথায় আলাদা করে কাঠের পাটাতন দেওয়া, যাতে মন্দিরের কিছু ক্ষতি না হয় সেই কারণে বোধহয়।পাথরের চাতাল পুরোটাই বরফে ঢাকা ।খালি পায়ে যেতে হবে। তাড়াতাড়ি করে জুতো খুলে বরফের উপর পা ফেলতেই  সারা শরীরে যেন বিদ্যুৎ খেলে গেল।জাগেশ্বর বাবাকে দর্শন করে ছোট ছোট মন্দির গুলোতে ঘুরে বেড়াতে লাগলাম এবং ছবি তুলতে লাগলাম। মন্দিরের পাশেই এখানে একটি মিউজিয়ামও আছে যা উত্তরাখণ্ড সরকার দ্বারা পরিচালিত। সেখানেও বহু প্রাচীন মূর্তি রাখা আছে।একটা সময়ে সেগুলি মন্দিরের গাত্রে খোদাই করা ছিল সম্ভবত। এখন তাদের স্থান হয়েছে মিউজিয়ামে। মূর্তি  গুলির মধ্যে অনেক গুলির বয়স হাজার শতাব্দি বা তার থেকেও বেশি।

রাত্রিবেলা গেস্টহাউসের দরজা খুলে সবে পা বাড়িয়েছি দেখা হয়ে গেল হয়ে গেল সোহম সিং ও তার সহযোগী গঙ্গারাম ভোজের সাথে। তারা আমাদেরই খোঁজে গেস্টহাউস এসেছে। হাতে দেখলাম বেশ বড় একটা ছূচালো রড, জিজ্ঞাসা করে জানতে পারলাম যে রড আত্মরক্ষার জন্য। কোন কারণে যদি চিতাবাঘ চলে আসে তাহলে আত্মরক্ষার উপায় হিসেবে তারা নিয়ে এসেছে শুনে বেশ গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠলো।ক্যান্টিনে বসে দেশি মুরগির ঝোল আর তাদের হাতে তৈরি গরম গরম রুটি পথের ক্লান্তি দূর করে মনে এক অনাবিল আনন্দে ভরিয়ে দিল।আজই আমাদের অলমোড়ায় শেষরাত  পরদিন সকালেই যাত্রা শুরু করব হাওয়াল বাগ থেকে 80 কিলোমিটার দূরে নৈনিতাল এর উদ্দেশ্যে।

সকাল সকাল বেরিয়েছিলাম আড়মোড়া থেকে নৈনিতাল এর উদ্দেশ্যে। কিন্তু বিধিবাম ।দুপুর দুপুর পৌঁছাব ভেবেছিলাম কিন্তু সে পথে বালি। নৈনিতালে ঢোকার 80 কিলোমিটার  আগে থেকেই থার্টি ফাস্ট উপলক্ষে নৈনিতালে প্রচুর পরিমাণ পর্যটকদের আগমনের জন্য এবং তাদের গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য আমাদের গাড়িকে যথারীতি ঢুকতে দেয়া হলো না। একমাত্র উত্তরাখণ্ড সরকারের বাস গুলিকে অনুমতি দেয়া হচ্ছে শহরে ঢোকার জন্যে। আমরা সরকারি বাসই ধরলাম। দুপুরের মধ্যে পৌঁছে গেলাম নৈনিতাল।নতুন বছর উদযাপন করবে বলে নৈনিতালে স্থানীয় লোকের সংখ্যা প্রচুর পরিমাণে বেড়ে গেছে তাই সমস্ত হোটেল বুকট। প্রত্যেকটা হোটেলে থার্টিফার্স্টের উপলক্ষ্যে দাম চড়া।আমাদের হোটেল বুকিং ছিল না আগে থেকে, তাই চড়া দামেই একটা মাঝারি মানের হোটেল নেয়া হলো।   হোটেলের নাম ভিনায়ক।

 

নৈনিতাল একটি লেক শহর বলা চলে। লেকের একধারে জমজমাট বাজার এবং লেকের পাশেই গুরুদুয়ারা এবং তার পাশেই নয়নাদেবীর মন্দির। এই নয়না দেবী থেকেই লেকের নামকরণ নৈনিতাল হয়েছে ।তাল মানে হচ্ছে  হ্রদ বা লেক।নৈনিতাল মার্কেট সবসময় জমজমাট ।আজ নতুন বছরের উপলক্ষে আরো বেশি জমজমাট মানুষের কোলাহলে ভর্তি।আমরা বেশ অনেক রাত অব্দি বাজারে ঘোরাফেরা করে হোটেলে ফিরে এলাম। পরদিন আমাদের নৈনিতাল দর্শন হলো। যথারীতি কেনাকাটা আর হইহুল্লোড় করে, লেকের জলে বোটিং করে সারাদিনটা বেশ ভালই কাটল।

সেকেন্ড ডিসেম্বর আমাদের ট্রেন বেরেলী থেকে চারটে বেজে 21 মিনিটে কলকাতা সুপার ফাস্ট এক্সপ্রেস। তাই 6000 টাকা দরাদরি করে একটা ইনোভা বুক করা হলো। নৈনিতাল থেকে বেরিয়ে যাওয়ার দুটো রাস্তা আছে একটা সোজা শহরের মধ্যে দিয়ে হালদোয়ানি হয়ে কাঠগোদাম এবং সেখান থেকে বেরেলী সময় লাগে চার ঘন্টা দূরত্ব 143 কিলোমিটার প্রায়। অপর রাস্তাটি হচ্ছে নৈনিতাল থেকে কালাধূঙ্গি ফরেস্ট হয়ে কাঠগোদাম, সেখান থেকে বেরেলী 160 কিলোমিটার রাস্তা সময় লাগে প্রায় 5 ঘন্টা। আমরা কালা ধঙ্গী হয়ে জিম করবেন মিউজিয়াম এবং জিম করবেট ফলস দেখে যখন 

​বেরেলী পৌছালাম তখন ঘড়িতে চারটে পনেরো। ভাগ্য সুপ্রসন্ন তাই ট্রেন মিস হলো না ট্রেনটি যথারীতি আধ ঘন্টা লেট ছিল তাই এই যাত্রায় বাঁচোয়া। 

Meet the Blogger

Soumen Chakraborty


নাম: সৌমেন চক্রবর্তী।
পেশা: মেকানিক্যাল ক্যাড (CAD) ডিজাইনার।



You may also like