Tripsee Treks  and Tours LLP
Blog and Travel with Us

তারাদের খোঁজে তাডোবায় !!



Subhradeep Jashu Subhradeep Jashu

প্রতি ভ্রমন আমার কাছে যেন ছোট গল্পের মত। যেন শেষ হয়েও হয় না শেষ। ঠিক সেই জন্যই আবার আমার তাডোবা যাত্রা। প্রথমবার ভালো লাগার জন্যই গন্তব্য আবার তাডোবা| অবশ্যই তারাদের খোঁজে। কিন্তু সেই তারারা কারা? অবশ্যই বন্যপ্রাণী এবং বিশেষ করে ডোরা কাটা জঙ্গলরাজ। তাডোবার জঙ্গল আমাকে বরাবরই আকর্ষণ করে। জিম করবেট, কানহা, বান্ধবগড় বা রণথম্ভোর - এই নাম গুলোর সাথে সবাই পরিচিত। কিন্তু তাডোবা অনেকটা চলচ্চিত্রের শক্ত পার্শ্ব চরিত্রের মতো। দৃঢ় উপস্থিতি ম্লান হয়ে যায় এইসব নামের কাছে। মহারাষ্ট্রের চন্দ্রপুর জেলায় অবস্থিত এই তাডোবা আন্ধেরি জাতীয় উদ্যান। কথিত আছে ঘন জঙ্গলে বসবাসকারী আদিবাসীরা তাড়ু নামের দেবতার উপাসনা করতেন। অনেকের মতে গ্রামের প্রধানের নাম ছিল তাড়ু , যিনি বাঘের সঙ্গে লড়াই করে মারা যান। তার নামের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের জন্যই আজকের তাডোবা, যা মহারাষ্ট্রের বৃহত্তম জাতীয় উদ্যান। ২০১৭ সালে আমার এক বন্ধুর অনুপ্রেরণায় প্রথমবার ভ্রমণ করি তাডোবায়। সেখান থেকেই ভালো লাগা। তার রেশ ধরে আবার এই বছর মার্চ মাসে দ্বিতীয়বার যাত্রা। শুক্রবার ভোর রাতের বিমানে নাগপুর। নাগপুরে আগে থেকেই গাড়ি বলা ছিল। নাগপুর থেকে তাডোবার দূরত্ব ১৪০ থেকে ১৫০ কিলোমিটার। আমরা ছয় জন ছিলাম। ইনোভা করে তিন ঘন্টায় পৌছে গেলাম। মহারাষ্ট্র টুরিজ্মের  রিসোর্টে পৌঁছে  দুপুরের আহারাদি শেষ করে তৈরি হলাম সাফারীর জন্য। আমাদের সর্বসাকুল্যে চারটে সাফারি বুক করা ছিল। তাডোবার জঙ্গল টি অনেকগুলি গেটে বিভক্ত। আমাদের তিনটে সাফারি ছিল মোহারলি গেটে আর বাকি একটি সাফারি ছিল খুটওয়ান্দা গেটে। এবার আসি সাফারির অভিজ্ঞতায়।

প্রথম দিন বিকালের সাফারি:

নির্ধারিত সময়ে জিপসি করে মোহারলি গেটে পৌঁছে গেলাম। গেটে পরিচয় পত্র সহ অনুমতি পত্র দেখিয়ে প্রবেশ করলাম। গাড়ি এগিয়ে চলল জঙ্গলের ভেতর দিয়ে।

প্রথমেই কয়েকটা ময়ূর দেখা গেল। কিছুদুর গিয়ে জিপসীর  ড্রাইভার ব্রেক মারল। সামনে রাস্তা অবরোধ। যা দেখলাম তাতে মনে হলো এই ধরনের অবরোধ যেন বারে বারে ফিরে আসে। সময় নষ্ট না করে আমার ক্যামেরা এবং তার লেন্স গুছিয়ে নিলাম এবং লক্ষ্য ঠিক করলাম। পরবর্তী কিছুক্ষণ শুধু কানে এল ক্যামেরার শাটার এর শব্দ। কিন্তু কি দেখলাম? বলেই ফেলি। একটি বাঘিনী তার তিন ছানাকে নিয়ে রাস্তার ওপর বসে আছে। অদূরে একটি মৃত সম্বর হরিন। আধঘন্টা গেল,এক ঘন্টা গেল, তারা আর রাস্তা থেকে সরে না | গাড়ি এগোতে পারছে না পিছনেও যেতে  পারছে না। ওই চাঁদি ফাটা প্রখর রৌদ্রে আমাদের দাড়িয়ে থাকতে হল।কষ্ট হচ্ছিল বটে কিন্তু বাঘ বাচ্চা কেরামতি আমাদের সেই কষ্টকে দূর করে দিল। এই অভিজ্ঞতা ভোলার নয়। পড়ন্ত রোদে যেন প্রকৃতির দান। এ যেন অরণ্যের অধিকার। দেড় ঘণ্টা পর বাঘিনী তার বাচ্চাদের নিয়ে জঙ্গলে ঢুকে গেল। আর আমরাও যেন বাস্তব জগতে ফিরে এলাম। বিকালের সাফারি শেষ। সন্ধ্যাবেলা হোটেলে ফিরেও যেন ঘোরের মধ্যে ছিলাম। পরের দিন আবার সকালে সাফারি |তাই তাড়াতাড়ি রাতের খাবার খেয়ে শুয়ে পড়লাম।​

  • যা দেখলাম: ইন্ডিয়ান রোলার, স্পটেড ডিয়ার, ওরিয়েন্টাল ম্যাগপাই রবিন, রেড্ ভেন্টেড বুলবুল, রুফাস ট্রিপাই,ডাভ্, গ্রীন বি ইটার, পার্পল সান বার্ড, গ্রেট ইগ্রেট,ক্রেস্টেড সারপেন্ট্ ঈগল, ডার্টার বার্ড, ব্ল্যাক ড্রোঙ্গো, ইন্ডিয়ান পি ফাউল ও পিকক্, জাঙ্গল ফাউল, সাম্বার ডিয়ার, গাউর, বাঘিনী ও তার তিন শাবক, কুমীর, গ্রে হেডেড ফিশ আউল, ওয়াল্ড বোর|

দ্বিতীয় দিন বিকালের সাফারি:

 এই সাফারি বুকিং ছিল খুটওয়ান্ডা গেটে। সাফারি শুরু হওয়ার আগে গাইড এর কাছে বন বিভাগ থেকে খবর এসেছে যে, বাফার অঞ্চল থেকে একটি বাঘ ওই অঞ্চলে(কোর এরিয়ায়) প্রবেশ করেছে। মোটামুটি টার্গেট ফিক্সড| ওই বাঘটিকে ট্র্যাক করা। দুপুরে চড়া রোদে সারা জঙ্গল ঘুরে ফেললাম। কিন্তু তার দেখা পেলাম না। অবশেষে একটি ছোট্ট পুকুর বা তালাবের  কাছে অপেক্ষা করতে থাকলাম। প্রায় আধ ঘন্টা হয়ে গেল। চুপ করে বসে আছি। এমন সময় ড্রাইভার হঠাৎ করে বলে উঠলো "সামনে দেখিয়ে"। দেখলাম বড় ঘাসের জঙ্গল থেকে তিনি বেরিয়ে এলেন। গরমকে উপশম করার জন্য জলে নামলেন। তিন থেকে চার মিনিট পর উঠে আবার ঘাস জঙ্গলে ঢুকে গেলেন। নিজের চোখকে বিশ্বাসই হচ্ছিল না। ৩ মিনিটে কিছু ছবি ফ্রেমবন্দী করলাম।বাকি সময়টা ওখানেই কাটালাম। যদি আবার সে জনসমক্ষে আসে এই আশায়। কিন্তু এলেন না। সময় শেষ হতে থাকলো। সন্ধ্যা ছটার মধ্যে জঙ্গল থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। মন কিন্তু পড়ে রইল সেই ঘাস জঙ্গলে। তৃতীয় সাফারি ও শেষ। পড়ে রইল আর একটি মাত্র সাফারি। চাহিদা যেন বেড়ে যেতে লাগল।

·         এবারে যা পেলাম: বাফার জোনের বাঘ, পায়েড কিং ফিশার এবং কিছু নাম না জানা পাখি|

তৃতীয় দিন সকালের সাফারি:

​এটা ছিল শেষ সাফারি। তাই একটা প্রণাম ঠুকে গাড়িতে উঠলাম। নির্ধারিত সময়ে শুরু হলো। গাইড ভাই একটু অন্য দিকে নিয়ে গেল। কিছু দূর যাওয়ার পর সাম্বার হরিণ এর "কল" পেলাম। যেন নিস্তব্ধ জঙ্গলে অশনি সংকেত। আমাদের সামনে একটা গাড়ি ছিল। ওই গাড়ির গাইড ইশারা করলো। বোঝা গেল উনি বলতে চাইছেন পাশের ঘাস জঙ্গলে কিছু একটা নড়াচড়া করছে। আমাদের গাড়ির ড্রাইভার তার ইশারায় এগিয়ে গেল। আর সেটাই বুমেরাং হলো। ১০ মিনিট পর গাইড অল্প স্বরে বলে উঠলো "পিছে দেখিয়ে সড়ক্ ক্রস কর্ রাহা হ্যায়"। চোখের নিমেষে জন্তুটি চলে গেল। গায়ে ছোপ ছোপ দাগ। বাঘ নয় আবার জংলি বিড়ালও নয়। গাইড বলল চিতাবাঘ | হ্যাঁ যেটাকে আমরা বলি দ্য লিওপার্ড। তাডোবা ভ্রমণ যেন সার্থক। লিওপার্ড এর ছবি ক্যামেরাবন্দি করতে পারলাম না তবে মনের ক্যামেরায় তাকে ফ্রেমবন্দি করে রাখলাম। সাফারি শেষ হয়ে গেল | আর ভ্রমণ ও তাই শেষ। দুপুরের খাবার খেয়ে রওনা দিলাম নাগপুর বিমানবন্দরের উদ্দেশ্যে। বিকালের বিমান ধরে সোজা কলকাতা। ভ্রমণ শেষ। সত্যিই এই তিন দিনের ভ্রমণ ছিল ঠিক সেই ছোট গল্পের মত অর্থাৎ শেষ হয়েও হলো না শেষ।

  • যা পেলাম: নীল গাই, প্যারাডাইস্ ফ্লাই ক্যাচার, লেপার্ড, 

হানি বাজার্ড, হোয়াইট্ থ্রোটেড্ কিংফিশার, ইন্ডিয়ান রোলার, বার্কিং ডিয়ার

তাডোবা যাবার উপায়:

১. নিকটবর্তী বড় রেল স্টেশন হল নাগপুর। মুম্বাই বা পুনে গামী অধিকাংশ ট্রেন নাগপুর যায়। হাওড়া থেকে সবচেয়ে ভালো হল হাওড়া পুনে আজাদ হিন্দ এক্সপ্রেস। রাত দশটা নাগাদ ছেড়ে পরের দিন বিকেল চারটে নাগাদ নাগপুর পৌঁছায়। আগে থেকে গাড়ি বলে রাখুন। তিন ঘন্টার মধ্যে তাডোবা পৌঁছে দেবে। এতে সুবিধা হল পরের দিন সকাল থেকে সাফারি করতে পারবেন।

২.  তাডোবা যাওয়ার দ্বিতীয় উপায় হল বিমানে করে নাগপুর। ভোরের দিকের বিমানে নাগপুর পৌঁছে দুপুরের মধ্যে তাডোবা  ঢুকে যাওয়া যেতে পারে। আমি এই পদ্ধতিতেই গেছিলাম। যাওয়ার বিমান ভাড়া পড়েছিল ২৫০০ টাকা এবং ফেরার ২৭০০ টাকা।

 ৩.   নাগপুর থেকে তাডোবা যাওয়া এবং তাডোবা থেকে নাগপুর ফেরতের জন্য এ সি ইনোভার ভাড়া ১০০০০ টাকা(হাইওয়ে টোল সমেত)| অর্থাৎ ৬ জনের ভাড়া ১০০০০ টাকা| 

যোগাযোগ : রবিজী , মোবাইল নং:  ৮৮০৫৫৮২২৩৯, ৯৬৩৭৮০৭০৬৯

তাডোবায় আস্তানা:

খুব অল্প সংখ্যক হোটেল রিসোর্ট আছে। নিম্নলিখিত জায়গাগুলিতে থাকতে পারেন।

১. মহারাষ্ট্র ট্যুরিজমের রিসোর্ট হল সবচেয়ে ভালো। এসি ঘরের ভাড়া ২৭০০ টাকা। আর ননএসি ঘরের ভাড়া ১৮০০ টাকার মতো। www.maharashtratourism.gov.in -  এই ওয়েবসাইটে গিয়ে চেক করে নিতে পারেন। খাওয়ার খরচ আলাদা| 

২.তাডোবা টাইগার ভ্যালি রিসর্ট,

ঘর ভাড়া ১৭০০ টাকা থেকে শুরু| ওয়েব সাইট লিংক্:

www.tadobatigervalley.com

৩. বেশি বাজেটের মধ্যে  সেরাই টাইগার রিসর্ট| এটি একটু দূরে কিন্ত চারদিক জঙ্গল পরিবেষ্টিত| ওয়েবসাইট লিংক্: www.seraitiger.com

৪. অল্প বাজেটের মধ্যে ইয়ুথ হোস্টেল আছে। 

# তাডোবার কোন গেটে কি থাকার জায়গা আছে তা নিচের লিংকে গিয়ে দেখে নিতে পারেন:

https://wildtrails.in/complete-list-of-all-resorts-of-tadoba-tiger-reserve/

সাফারি বুকিং:

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল সাফারি বুকিং। কারণ সাফারি বুকিং নাহলে তাডোবা ভ্রমণের কোন মানেই হয় না |যেহেতু এটি জঙ্গল ভিত্তিক ভ্রমণ। সমগ্র তাডোবা জাতীয় উদ্যান কয়েকটি গেট এ বিভক্ত। গেট গুলি হল মোহারলি, খুটওয়ান্দা, নাভেগাঁও, কোলারা,আগারঝাড়ি, কোলসা এবং দেবাড়া। সব গেটের বুকিং পদ্ধতি একই রকম| এর মধ্যে নাভেগাঁও,আগারঝাড়ি এবং দেবাড়া হল বাফার অঞ্চল|  সাফারি বুকিং এর ওয়েবসাইট হল: 

www.maheecotourism.gov.in

খেয়াল রাখার বিষয়:

সাফারি খরচ সোম থেকে শুক্র বার এক রকম আর শনি ও রবিবার অন্যরকম।

 - সাফারির ১২০ দিন থেকে ৬০ দিন পর্যন্ত অনলাইন বুকিং এ সাফারির খরচ হল  ৪৩০০ টাকা (সোম থেকে শুক্র বার) এবং ৮৩০০ টাকা (শনি এবং রবিবার)

 - ৬০ দিন পর থেকে সাফারির খরচ ১৩০০ টাকা (সোম থেকে শুক্র বার) এবং ২৩০০ টাকা (শনি ও রবিবার)|

 - এছাড়া সাফারির সময় খরচ হল-  জিপসি ভাড়া ৩০০০ টাকা এবং গাইড ভাড়া ৩৫০ টাকা। আমি সব সাফারিতে এক গাইড এবং একই ড্রাইভার রেখেছিলাম অল্প কিছু টাকার বিনিময়ে। সাধারণত গাইড এবং ড্রাইভার রোটেশন হয়।

শেষে কিছু কথা:

 - তাডোবায় মোবাইল নেটওয়ার্ক নেই। শুধুমাত্র জিও টাওয়ার কাজ করে। মূল জঙ্গলে মোবাইল ফোন নিয়ে প্রবেশ নিষেধ।

 - ক্যামেরা চার্জ: সাধারণ ডিজিটাল ক্যামেরার জন্য চার্জ হল ২০০ টাকা প্রতি সাফারি এবং ডি এস এল আর ক্যামেরার চার্জ নির্ভর করে লেন্সের ভিত্তিতে, যেমন ২০০ মিমি লেন্স পর্যন্ত ভাড়া ২০০ টাকা প্রতি সাফারি এবং ২০০ মিমির ওপরে লেন্স ভাড়া ২৫০ টাকা প্রতি সাফারি|

সাফারির সময়:

১. ১লা অক্টোবর থেকে ৩১ শে অক্টোবর : সকাল ৬ টা থেকে ১০টা পর্যন্ত এবং দুপুরে ২:৩০ থেকে ৬.৩০ পর্যন্ত। 

২. ১লা নভেম্বর থেকে ২৮ শে ফেব্রুয়ারি: সকাল সাড়ে ৬ টা থেকে ১০.৩০ এবং দুপুর ২ টো থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত|

৩. ১লা মার্চ থেকে ৩০শে এপ্রিল: সকাল ৬ টা থেকে ১০টা পর্যন্ত এবং দুপুরে ২:৩০ থেকে ৬.৩০ পর্যন্ত।

৪. ১লা মে থেকে ৩০ শে জুন : সকাল সাড়ে ৬টা থেকে ৯.৩০ টা এবং দুপুর ৩টে থেকে ৭টা পর্যন্ত।

(জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জঙ্গল ভ্রমণ বন্ধ থাকে।)

 সতর্কীকরণ:

১. জঙ্গলে অযথা শব্দ করবেন না। বাঘ দেখলে অনেকে জোরে শব্দ করেন। এক্ষেত্রে আবেগ সংবরণ করতে হবে।

২. জঙ্গলে সাথে মানানসই পোশাক পরিধান করুন। বর্ণময় পোশাক পরিধান এড়িয়ে চলুন।

৩. প্লাস্টিক বা অন্য কোন বর্জ্য জিনিস জঙ্গলের ফেলবেন না বা কাউকে ফেলতে দেবেন না।

৪. সাফারি মানেই যে বাঘের দর্শন পাবেন তা নয়। এটা সম্পূর্ণ ভাগ্যের ব্যাপার।কিছু যদি না দেখতে পান তাহলে গাইড বা ড্রাইভার এর ওপর অসন্তোষ প্রকাশ করবেন না। তারা আপ্রাণ চেষ্টা চালায়। বরং অন্য বন্যপ্রাণী দের আচরণ এবং জঙ্গলকে উপভোগ করুন।

৫. জঙ্গলের ভেতর গাড়িতে বসে ধূমপান করবেন না। একটা ছোট্ট ভুল দাবানল পর্যন্ত তৈরি করতে পারে।

সব শেষে বলি আনন্দের সাথে তাডোবা ভ্রমণ করুন এবং বন্যপ্রাণী ও জঙ্গল কে উপভোগ করুন।  আর অবশ্যই তাদের অরণ্যের অধিকারকে সম্মান করবো|

Meet the Blogger

Subhradeep Jashu


Name- SUBHRADEEP JASHU
Age-  32
Profession- SERVICE(BANKER)
City- HOWRAH
Hobbies- PHOTOGRAPHY(WILDLIFE &LANDSCAPE) , TREKKING, MOUNTAINEERING,
Previous Tours-
Unexplored area of Jharkhand(Giridi ,Munidi ,Bhatinda falls ,Rajrappa, Hudru)
Satna- Khajuraho-Jabalpur-Chitrokoot, Rajasthan, Vizag- Araku- Hyderabad- Jagdalpur, Shimla-Manali-Rohtang,  Lucknow-Nainital-Almora-Ranikhet-Binsar-Koushani, Kerala with Kanyakumari
Bhutan, Gujrat-Daman-Diu-Gir,Delhi-Agra-Mathura-Vrindavan-Bharatpur Bird Sanctuary, Gopalpur-Taptapani, Goa-Dudhsagar Falls,     Nepal(Kathmandu-Pokhra-Chitwan-Lumbini-Monokamona Temple-Nagarkot)
West Bangal(Darjeeling-Bankura-Bishnupur- Mukutmanipur-Bakkhali-Talsari-Purulia-Baranti etc)
Haridwar-Dehradun-Mussorie-Rishikesh, Amritsar-Dalhousie-Dharamsala
Tadoba National Park(Wildlife Photography)
Meghalaya(Shillong-Cherapunjii-Dawki-Mawlinlong-Krangsuri)
Vizag- Araku, Ranthambhore National Park(Wildlife Photography) & Bhangarh
Sundarban Mangrove(Wildlife Photography)
Lucknow & Dudhwa National Park(Wildlife Photography), Latpanchar(Bird Photography)
TREKKING
Deoriatal- Tunganath-Chandrashila, Kedartal via Gangotri, Valley of Flowers-Hemkund Sahib- Badrinath, Bali/Yamunetri Pass via Har Ki Doon, Bagini Glacier- Changabang Base Camp



You may also like