টা-টা বাই-বাই তো করবো, কিন্তু কিভাবে? বিভিন্ন জায়গা থেকে পড়াশুনা করে ততদিনে জেনে গেছি যে সিমলা গেলে টয় ট্রেন হলো বেস্ট অপশন, কিন্তু এটাও জেনেছি, যে ট্রেনটা সবথেকে প্রেস্টিজিয়াস (শিবালিক ডিলাক্স) তার রিজার্ভেশন পাওয়া খুব কঠিন I
লক্ষ্য এক এবং একমাত্র শিবালিক ডিলাক্স টয় ট্রেনে সিমলা যাওয়া, সেই উপলক্ষ্যে অনেক খরচাপাতি করে ফেললাম I শুনলাম যদিও এটি কালকা মেলের সাথে কানেকটিং, কিন্তু কালকা বেশি লেট করলে মহারাজ কালকা ছেড়ে রওনা দেন !! অতএব, রিস্ক না নিয়ে ওই টিকিট কাটার সময় আসার আগেই দিল্লি পর্যন্ত প্লেনের টিকিট করে ফেললাম, দেরি হলে খরচ বাড়বে I তারপর, ঠিক একশো কুড়ি দিন হিসাব করে অফিস কামাই করে টিকিট কাটতে বসলাম মাস্টার লিস্ট ইত্যাদি বানিয়ে রেডি হয়ে I ধুউউস, এসব আমার কম্মো নাকি? টিকিট পেলাম ওয়েটিং ১৬,১৭,১৮,১৯ !! এর থেকে হেঁটে চলে যাওয়া অনেক সোজা !! এদিকে প্লেনের টিকিট কাটা হয়ে গেছে ! দিল্লি থেকে কালকা গাড়ি মোটামুটি কথা হয়ে গেছে, এমনকি কালকায় রাতে থাকার জন্য ঘর বুকও হয়ে গেছে !! বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ নেওয়া শুরু করলাম, রেলের চেনাজানা লোকজন বললো, অবশ্যই কনফার্ম হবে, আরএসি নেই তো এ ট্রেনে; বলে যোগ করলো, তাও আপনি কালকা-সিমলা অন্য ট্রেন যেটা ৬-২০ তে ছাড়ে ওর টিকিটও কেটে রাখুন, ওটার টিকিট এক মাস আগে ওপেন হয় !!
আবার এক মাস আগে বসে পড়লাম কম্পিউটারের সামনে, হা হতোস্মি !! সেই ওয়েটিং !! ধুস যা থাকে কপালে, কাটবোইনা আর কোনো টিকিট !!
দিন যায়, রাত যায়, বসে থাকি হায়.... যাওয়ার দিন কুড়ি আগে ওয়েটিং ১১,১২,১৩,১৪ !! আর হবেনা !! ভাবলাম তাহলে কালকা থেকে সিমলা গাড়ির চেষ্টাই করি !! মহেশজি, যার সাথে আমরা সিমলা থেকে ঘুরবো, তার সাথে কথাও বলে রাখলাম !! দিন গড়ায়, হতাশা বাড়ে, ২২শে ডিসেম্বর সকাল ১০-৪৫ এ প্লেন , তারাও দুদিন আগে আবার অনেক ক্ষমা চেয়েটেয়ে জানালো যে ফ্লাইট এক ঘন্টা এগিয়ে আনা হয়েছে !! আবার ফোনাফুনি করে গাড়িকেও সেভাবে বলা হলো, ওয়েটিংএর লিস্ট নট নড়নচড়ন !!
সারাদিন একটাই কাজ, শুধু চেক করা যে কনফার্ম হলো কিনা? থাকি মফঃস্বলে, প্লেন সকাল ৯-৩০টায় , ভোর ৬-৩০টায় গাড়ি করে চললাম এয়ারপোর্ট, মনে খুব দুঃখু যার জন্য এতো কিছু করা, সেইই অধরা রয়ে গেলো !! এর থেকে কত সস্তায়, কত কম ঝামেলা করে কালকা মেলেই গিয়ে গাড়িতে যেতে পারতাম !!
ঘুম ঘুম চোখে এয়ারপোর্ট চলেছি, হঠাৎ ফোনে টুংটাং শব্দ !! 'হোয়ার ইস মাই ট্রেন' থেকে নোটিফিকেশন, চারটে টিকিটই কনফার্মড !!! ইয়াহুউউউ !!! আছে আছে, এ যাত্রায় অনেক ভালো কিছু অপেক্ষা করে আছে !!!
তারপর তো বোরিং সিক্যুরিটি, ততোধিক বোরিং এয়ারপোর্টে বসে থাকা, যন্ত্রণাময় বোরিং প্লেন জার্নি শেষে দিল্লি নামলাম I একটি পাঞ্জাবি ছেলে (ড্রাইভার) আমাদের চন্ডিগড় নিয়ে যাবে, ওখান থেকে মহেশজির ভাই সুশীলজি কালকা পৌঁছে দেবে I
বুক করেছি এইচপিটিডিসির হোটেল, ' দা শিবালিক'; নাম দেখেই বুক করেছিলাম (রুম মোটামুটি ১৩০০ থেকে ২৫০০ টাকা, আমরা অফ সিজন ডিসকাউন্ট পেয়েছিলাম) !! কালকা যেহেতু হরিয়ানায়, এ হোটেলটি ঠিক হিমাচলে ঢুকে, পাহাড়ের অল্প ওপরে, জায়গার নাম পরমাণু, ওখান থেকে স্টেশন গাড়িতে ৫ মিনিট I
দিল্লি থেকে রওনা হতে হতে প্রায় একটা I ড্রাইভার ছেলেটিকে প্রথম দেখে বেশ শান্তশিষ্ট লাগলো; কিন্তু তার যে এমন মাথার ব্যামো, কে তা জানতো? জ্যাম প্রচুর, গাড়ি চলেছে, ড্রাইভার কানে হেডফোন লাগিয়ে কথা বলছে কারোর সাথে, স্বাভাবিক, কোনো অস্বাভাবিকতা নেই !!!
প্রথম ধাক্কা খেলাম গাড়িতে ওঠার প্রায় ঘন্টাখানেক পরে, কি একটা জিজ্ঞেস করলো আমায় ড্রাইভার, আমি উত্তর দিতে গিয়ে বুঝলাম আমায় না, ও ফোনে কাউকে জিজ্ঞেস করছে !!! তারপর দেখলাম ও ফোনেই আছে I কি ফোন যার এতো চার্জ থাকে, সেটা জিজ্ঞেস করারও ফুরসৎ পাচ্ছিনা !! ওই চন্ডিগড় থেকে সুশীলজি প্রায় ঘন্টা দুয়েক ওকে চেষ্টা করে হাল ছেড়ে আমায় ফোনে জানতে চাইলো যে ছেলেটির ফোন কি হয়েছে? খেতে নামলাম এক জায়গায়, ও ফোনেই থাকলো !! বেলা একটায় রওনা হয়ে চন্ডিগড় নামলাম প্রায় সাতটা, প্রচুর জ্যাম রাস্তায়, তো এর মধ্যে ও চুপ ছিল মোটামুটি মেরেকেটে এক ঘন্টা !! এর থেকে বেশি আমি দিতে পারবোনা, সরি !!! ওই ছ'ঘন্টা গুরমুখী শুনে শুনে আমি প্রায় শিখে গেলাম ভাষাটা !! উঁহু, ভুল ভাববেননা, ও কিন্তু প্রেমিকা বা বৌকে ফোন করছিলোনা, সব ইয়ার-দোস্ত ড্রাইভার, যারা রাস্তায় চালাচ্ছিল গাড়ি তাদেরই করছিলো !! ভাষাটা শিখে এটুকু আমি বুঝতে পেরেছি !!!
আরেকটা দারুন ইন্টারেষ্টিং জিনিস রাস্তায় পেলাম, যেখানে দুপুরের খাবার খেলাম I খাওয়ার পরে যেরকম মৌরি-মিছরি বা চিনি দেয়, ওখানে মৌরির সাথে আখের গুড় দিলো; অপূর্ব খেতে !!
যাক, এতো কর্ণপটহের অত্যাচার সহ্য করে চন্ডিগড় এসে যখন সুশীলজি'র গাড়িতে স্থানান্তরিত হলাম, সে যে কি মুক্তির আনন্দ !! সুশীলজি এক অতি সজ্জন ব্যক্তি, যাঁর সাথে এর পরের হিমাচলি দিনগুলো কাটিয়েছিলাম !!! ওনার গুনের শেষ নেই I আমরা গাড়ি নিয়েছিলাম ২৪শে ডিসেম্বর থেকে, উনি তো ২২শেই আমায় কালকা পৌঁছলেন, শুধু তাই না, যেতে যেতেই উনি জানালেন যে, কাল, অর্থাৎ ২৩শে সিমলা স্টেশন থেকে উনি হোটেল পৌঁছে দেবেন, তার জন্য অতিরিক্ত কিছু লাগবেনা !! তারপর, আমি যখন আমার মিসেসের সাথে আলোচনা করছি যে এই ঠান্ডায় ভোর ৫-৪৫ এ স্টেশনে পৌঁছবো কি করে? উনি স্বতঃপ্রণোদিত হয়েই বললেন যে আজ রাত উনি কালকায় কাটিয়ে কাল ভোরে আমাদের স্টেশনে নামিয়ে সিমলা চলে যাবেন, এবং সিমলা স্টেশন থেকে আমাদের নিয়ে আবার কাল হোটেল পৌঁছে দেবেন !!! এবং আমরা শুধু হাতের ব্যাগগুলো নিয়েই স্টেশন যাবো, উনি বাকি লাগেজ নিয়ে সিমলা স্টেশনে অপেক্ষা করবেন !!!
আমারই কপাল ভালো !! এনাদের দেখা পাওয়াই তো এ ঘোরাঘুরির মোক্ষলাভ !!!
ঘুটঘুটে অন্ধকারে কালকা ছাড়িয়ে পাহাড়তলী দিয়ে অল্প পাহাড়ে উঠেই একটা বাঁক ঘুরে পৌঁছলাম 'দা শিবালিক' !!! বলেকয়ে সুশীলজি'র শোয়ার একটা ব্যবস্থা করলাম I
বিশাল একটা রুম পেলাম, অসাধারণ, খাওয়াদাওয়াও খুব ভালো, তাড়াতাড়ি সব সেরে ঘুম, ভোরে উঠতে হবে I
উত্তেজনায় ঠিক করে ঘুম হলোনা, ভোরে উঠে রেডি হয়ে গাড়িতে স্টেশন, তখনও ঘুটঘুটে অন্ধকার... দূর থেকে শুনতে পেলাম....
' মে আই হ্যাভ ইওর কাইন্ড এটেনশন প্লিজ, কালকা-সিমলা শিবালিক ডিলাক্স হ্যাজ বিন রি-সিডিউল্ড ফ্রম ৫-৪৫ এ.এম টু ৮-০৫ এ.এম' !!!!!
যাহ্হ্হ্হ্হ্হ্হ্হ্হ্হ্হ........
.........................................
একজন মানুষ, দাড়ি গোঁফে মুখ ঢাকা, বেশ ছিপছিপে চেহারা, বয়স বোঝা যাচ্ছেনা I লম্বা চুল, এলোমেলো, আপন মনে একটা বড় কাঠের হাতুড়ি নিয়ে পাহাড়ের রেলের অর্ধসমাপ্ত টানেলে পাথরের গায়ে ঠুকছে, আর কান পেতে কি শুনছে !!! রেলের লালমুখো বড় সাহেব ও আরো মাঝারি, ছোট অফিসাররা সব দূরে দাঁড়িয়ে অবাক হয়ে দেখছে !! অনেকক্ষন ঠোকাঠুকি, শোনাশুনির পর এক জায়গা লোকটা নির্দিষ্ট করে দিচ্ছে, আর রেলের শ্রমিকরা ওই জায়গায় খোঁড়াখুঁড়ি শুরু করছে !! অদ্ভুত ভাবে সে নাকি বুঝতে পারে, পাথরের ওপারে কোথায় কাটতে কাটতে ফাঁপা হয়েছে পাহাড় !!!
মানুষটা সম্বন্ধে অনেক গল্প প্রচলিত, অবচেতন কোনো প্রজ্ঞা যাঁকে ঘিরে থাকে, থাকেন সিমলার ওপরের দিকে একটা গ্রামে, কিন্তু বাড়িতে থাকেননা, নিজেদের বসতবাড়ির জমির মধ্যেই এক গাছের নিচে থাকেন ,ওনার পোষ্যদের নিয়ে I কুকুর, বেড়াল, পাখি, কাঠবেড়ালি, পোকামাকড় সবই ওনার পোষ্য !! এমনকি উনি চুলদাড়ি কাটতেননা, এবং তাতে গাছ থেকে মধু নিয়ে মাখতেন, যাতে উকুনগুলো ভালোভাবে থাকে !!
....শিবালিক ডিলাক্স শেষ পর্যন্ত ছেড়েছে আটটা পাঁচের জায়গায় আটটা কুড়িতে I তখনও ঘুম ভাঙেনি কালকার, কুয়াশার হালকা চাদর জড়িয়ে ট্রেন চলেছে এঁকেবেঁকে, আস্তে আস্তে পাহাড়তলী ছেড়ে পাহাড়ে উঠছে, ট্রেনের ভেতরের আবহাওয়াটা বেশ মনোরম, সবাই হালকা গল্পে মেতেছে, একপাশে চারটে করে বেশ বড়োসড়ো চেয়ার, দুটো করে মুখোমুখি, মাঝে একটা টেবিল, আর আরেকপাশে দুটো চেয়ার, সবগুলোই রিভলভিং, মানে ঘোরানো যায় I পর্দা ইত্যাদি মিলিয়ে বেশ পরিচ্ছন্ন I তবে জনান্তিকে বলি, আমাদের দার্জিলিং-হিমালয়ান রেলওয়ের জয় রাইডের ব্যাপারটা একটু আলাদা, বাষ্পচালিত ইঞ্জিন তার গ্ল্যামার অনেকটাই বাড়িয়ে দিয়েছে I
যাই হোক, চলেছি বেশ ভালো গতিতে, জানলাম এই ট্রেনটি ২৫-৪০ কিমি বেগে যায় I পেরোলাম ছোট ছোট স্টেশন.. টাকশাল, গুম্মান, কোটি ইত্যাদি I শিবালিক থামবে শুধু বারোগ স্টেশনে, তাও ব্রেকফাস্ট তোলাটাই মূল লক্ষ্য I
কাট টু, বারোগ টানেল I কালকা-সিমলা রেলওয়ের সবথেকে বিখ্যাত বা কুখ্যাত এবং সবথেকে বড় টানেল I হ্যারিংটন সাহেবের মাথা খারাপ !!
১৮৯৮ সালে এই রেলওয়ের কাজের দায়িত্ব নিয়েছেন, মোটামুটি বাকি কাজ এগোচ্ছে, কিন্তু যে টানেলটা সবথেকে জটিল, সেটা কিছুতেই কাটা যাচ্ছেনা !! প্রথমে কর্নেল বারোগকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল, উনি দুদিক থেকে কাটতে কাটতে এগিয়েছিলেন, কিন্তু প্রচুর খরচ ও সময় নষ্ট করার পর দেখা গেলো দুটো গুহার এলাইনমেন্ট মিললনা, মানে টানেল তৈরী হলোনা ! ব্রিটিশ সরকার বারোগকে এক টাকা ফাইন করলেন সরকারি সম্পত্তি নষ্টের জন্য !! দুঃখে, অপমানে কর্নেল বারোগ সুইসাইড করলেন নিজেকে গুলি করে I তাকে কবর দেওয়া হয় ওই অসম্পূর্ণ টানেলের কাছেই I তিনি নাকি আজও ওই অসমাপ্ত টানেলে ঘুরে বেড়ান, এবং ওনাকে অনেকেই নাকি দেখেছে !!!
সে যাই হোক,এবার হ্যারিংটন সাহেব নিজেই দায়িত্ব নিয়ে এই টানেল নতুন করে খোঁড়া শুরু করলেন ওই অসমাপ্ত টানেলের পাশেই I কিন্তু সেই একই ব্যাপার, কিছুতেই এলাইনমেন্ট মিলছেনা !! এই সময় পাওয়া গেলো ওই ভালকু রামের খবর, যে আদতে ছিল রেলের একজন শ্রমিক; তারপর তো ইতিহাস I শুধু বারোগ নয়, বাকি অনেক টানলেই ভালকুর সাহায্য নিয়ে কাটা হলো I ভালকু রাম, বা বাবা ভালকুকে ব্রিটিশ সরকার মেডেল আর পাগড়ি দিয়ে সম্মানিত করলো I
পরে, এই ২০১১ সালে সিমলার পুরোনো বাস-স্ট্যান্ডের পাশে তৈরী করা হয় ছোট একটি মিউজিয়াম, 'বাবা ভালকু রেল মিউজিয়াম'; ছোট্ট কিন্তু সুন্দর মিউজিয়াম, খুব ইন্টারেষ্টিং কিছু জিনিস আছে এখানে, যেমন যাত্রীদের ফেলে যাওয়া সম্পত্তির ১৯৩০ সালের রেজিস্টার, ছাতা, কোট ইত্যাদির হিসেব !! বিংশ শতাব্দীর রেলের বিভিন্ন অংশ, অনেক সুন্দর কার্টলারি ইত্যাদি I সোমবার বাদ দিয়ে বাকি দিন খোলা থাকে I
ব্যাক টু, ২৩শে ডিসেম্বরের শিবালিকের কম্পার্টমেন্ট I বারোগে ট্রেন থেমেছে, ব্রেকফাস্ট উঠছে, এক্ষুনি খাবো I নেমে টানেলের দিকে উঁকিঝুঁকি মেরে পুরোনো টানেল খুঁজে পেলামনা, নিশ্চয়ই আশেপাশে আছে I খুব সুন্দর ছিমছাম স্টেশন, বারোগ টানেলই এই লাইনের মোট ২০৭ টি টানেলের (এখন ২০৩টির মধ্যে দিয়ে ট্রেন যায় ) মধ্যে দীর্ঘতম, ১১৪৩.৬১ মিটার লম্বা I আরেকটু তথ্য দিয়ে আজকের মতো বোর করা শেষ করবো I শেষ পর্যন্ত এই ৯৬.৬ কিমি লম্বা দীর্ঘ রেলপথ 19০৩ সালের নভেম্বরে লর্ড কার্জন সাধারণের জন্য খুলে দেন I খুব মজার হলো, তখন এই রেলপথ ন্যারোগেজই ছিল, কিন্তু ২ ফুট চওড়া, পরে ২০০৬ সালে ভারতীয় রেলের স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী ২ ফুট ৬ ইঞ্চি করা হয়, যা এখনো চলছে I আরো চটপট কিছু তথ্য দি, এই রেলপথ বানাতে খরচ হয়েছিল ১ কোটি সত্তর লক্ষ'র বেশি, ভাবা যায়? মোট ব্রিজ আছে ৮৬৪ টি, কার্ভ আছে ৯১৯ টি, তার মধ্যে একটি আছে ৪৮ ডিগ্রী !!!
ইউনেস্কো এই রেলপথকে ২০০৮ এর আট জুলাই ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট ঘোষণা করে I
যাক, অনেক বোর করেছি আপনাদের, এবার ওই ওমলেট, পাউরুটি খেয়ে নি, এরপরেই আসবে সোলান স্টেশন, এটা কিন্তু অন্য সোলান, মানালি বিখ্যাত সোলান নয় I তবে এরও অসাধারণ উপত্যকা আছে, তারপরেই সোলান ব্রুয়ারিজ I
আলোতে, ছায়াতে অসাধারণ এক্কা দোক্কা খেলতে খেলতে এসে পড়বে সিমলা I
আজ আসি, আবার কখনো দেখা হবে I
টা-টা, বাই-বাই...
Name: Subhamay Pal
Age: 48
Profession: State Civil Servant
City: Kalyani
Hobby: Story telling