" বাতায়নে রবে বাহু মেলি
বসন্তের সৌরভের পথে
মহানিঃশব্দের পদধ্বনি
শোনা যাবে নিশীথ জগতে "
বিশ্বকবির প্রতিটি শব্দের মূর্ছনায় থাকে অনুভবের অরুণোদয়,, ঠিক যেমন নির্মেদ অলংকৃতা মৈত্রেয়ী আলো আঁধারীতে ধরা দেয় প্রকৃতি রূপে..... ছুটি মানেই প্রকৃতির সান্নিধ্য পেতে ছুটে আসা অগুনতি শহুরে জীবন.... মংপুর রবীন্দ্রভবন ডান দিকে রেখে, বাঁদিকের উপরের রাস্তা ধরে উচ্চতার শিখর স্পর্শ করা যায় যেন, তারপর ধীরে ধীরে কিছুটা সমতলে নেমে আসতেই জানা গেলো, গন্তব্যে হাজির.... শিটং এর খাসমহল এলাকার একটি হোমস্টেতে মাত্র চব্বিশ ঘন্টার ব্যাপ্তিতে মন এবং মননে গেঁথে থাকলো, কিছু রাখালবালক এখানে মেঘ নামে পরিচিত..... সৌন্দর্য আগ্রাসী আপামর বাঙালির একজন হিসেবে ভেসে গেছি অনন্ত প্রেমে..... আলোচ্য বিষয় ঠিক কি হতে পারে, আতিথেয়তা নাকি শিমুল তুলোর মতো মেঘজাল, তা নিয়ে দ্বন্দ নেই...... প্রকৃতি সেই সুযোগ দেয়না কারোকেই,
প্রতি পলকে মনের ঠিকানায় রাখে অসংখ্য ইচ্ছেডানার আঁকিবুঁকি.....বুনো বাসনার প্রেম আসে কমলালেবুর ঘ্রাণে..... জুন মাসের প্রথমার্ধেই বৃষ্টি নামে পাহাড়ি বাতাসে, মিশে যায় স্বপ্ন সাবলীল নীলে.... এক পশলা সজীবতা ভুলিয়ে দেয় যাপিত বাস্তবতা, লাভ-ক্ষতির বিশ্লেষণ..... এখানে অলিগলিতে থাকেনা অস্থিরতা, থাকেনা বেদনা সমাগম...... শুধু বুনোফুল, প্রজাপতি আর পাখিদের কলরবে দ্বিতীয়বার আসার বাহানা খুঁজতে হয়..... খামখেয়ালি সময় কে বাক্সবন্দি করে, তিস্তার স্মৃতিতে, পুরোনো সুরে, ছেড়ে আসা কাব্যে একটা হলুদ পাখি প্রতীক্ষায়..... নিত্যদিনের এলোমেলো ভাবনায় সেই হলুদ পাখিটি রয়ে যায় অমলিন.....
নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে প্রায় দু আড়াই ঘন্টায় শিটং এর যেকোনো হোমস্টে পেয়ে যাবেন.... আন্তরিকতার ছাপ তো ফেলবেই, উপরি পাওনা হিসেবে পাবেন পাখি আর প্রজাপতির গল্প.... খুদে সদস্যটির সাথে ঠিক তখনই একাত্ম হয়ে যাবেন.... নিতান্ত প্রকৃতির সান্নিধ্য পেতে হলে তবেই আসবেন,, নচেৎ এখানে স্টার জলসা আর জি বাংলার পরিষেবা আশা করবেন না দয়া করে..... জীবনের কিছু মুহূর্ত হোক আবাহনী, কিছু হোক মুক্তি.....
Name - Rubi Kundu
Age - 36
Profession- House wife
City - Siliguri,West Bengal
Hobbies - Travelling
Travel Experience - Shittong